কোচবিহারঃ
সামান্য এক থেকে দেড় কিলোমিটার যাত্রী পরিবহন জনপ্রতি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে কুড়ি টাকা করে। টোটো ভাড়া ১০ টাকা জনপ্রতি। সর্বোপরি করোনা আচরণবিধি অনুযায়ী টোটো চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তারপরেও শহরজুড়ে টোটোর ছড়াছড়ি। ভাড়া দ্বিগুণ, বিপাকে পড়ছে কোচবিহারের বাসিন্দারা। বাধ্য হয়েই প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে তাদের। টোটো চালকদের একাংশ বলছেন, পেটের দায়ে বেরোতে হচ্ছে তাদের। কিন্তু ভাড়া ? যার কাছে যেমন খুশি ভাড়া চাইছে টোটো চালক না এমনটাই অভিযোগ। সন্ধান আপনি তো কথাই নেই। মতম ভাড়া ৩০টাকা। তা আপনি যত কাছেই যান না কেন। নিত্যনৈমিত্তিক টোটোর এই জুলুম আর মেনে নিতে পারছে না কোচবিহার।
টোটো চালকদের একাংশ বলছেন, পুলিশ তাদের টোটো চালাতে বাধা দিচ্ছে ঠিকই কিন্তু খুব বেশি জোরাজোরি নেই। একদিকে অফিস-আদালত খোলা রয়েছে অপরদিকে টোটো পরিষেবা না থাকলে লোকজন পৌঁছোবে কিভাবে। কোচবিহার কোতোয়ালি থানা সূত্রে জানানো হয়েছে এখনো পর্যন্ত টোটোর জুলুম কিংবা বর্ধিত ভাড়ার চাহিদা নিয়ে কোন লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি, তাই থানার তরফ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া কষ্টকর। একই সাথে টোটো চালক দের বক্তব্য তাদের ইউনিয়ন থেকেই নাকি এই ধরনের ভাড়া বাড়ানোর মৌখিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কুচবিহার সদর মহকুমার শাসক রাকিবুর রহমান মন্তব্য করে বলেন, জুলুমের বিষয়টা জানা ছিল না আমরা প্রশাসনিক তবে অবশ্যই পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
অনান্য খবর- পেট্রোপণ্য মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আলিপুরদুয়ারে পেট্রোল পাম্পে অভিনব কায়দায় বিক্ষোভে জেলা কংগ্রেস
করোনা আচরণবিধি লঙ্ঘন করে দেদার ছুটে বেড়াচ্ছে টোটো, প্রশাসন নিশ্চুপ
অনান্য খবর- জাতীয় চিকিৎসক দিবসে গোপীবল্লভপুর থানার পক্ষ থেকে ডাক্তারদের সম্মাননা
করোনার তৃতীয় ঢেউকে মাথায় রেখে মোথাবাড়ি থানার মানবিক উদ্যোগ
একই সাথে কোচবিহার জেলা মোটর ভিকেলস এর উপরেও চাপ আসতে চলেছে, কারণ যেখানে সরাসরি সরকারি নির্দেশিকা রয়েছে কোনরকম অটো এবং টোটো চলবে না সেখানে কিভাবে শহরজুড়ে টোটোর ছড়াছড়ি হয়, এবং মটোরভিকেলস বিভাগ কি কাজ করছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যাইহোক টোটোর এই জুলুমের অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে কোচবিহার। স্থানীয় বাসিন্দা সন্তোষ দেবনাথ জানান, শুধুমাত্র সাগরদিঘির পারে এপাশ থেকে ওপাশ হয়ে যেতেই কুড়ি টাকা করে ভাড়া গুনতে হচ্ছে, সন্ধ্যার পরে বাজার এলাকায় গেলে ভাড়া দিতে হচ্ছে ৩০ টাকার বেশি, প্রশাসন নির্বিকার কেন।