Uttorer Sangbad:- মাথাভাঙ্গার বিধায়ক বিজেপির সুশীল চন্দ্র বর্মন ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা ধরার লোক থাকবে না, কিন্তু বাস্তব চিত্রটা সম্পূর্ণ আলাদা। যে গতিতে বিজেপি শিবির ভাঙছে তাতে আসন্ন পৌর নির্বাচনে বিজেপির পতাকা ধরার কর্মী নাও থাকতে পারে। রবিবার সকালে আরো একবার মাথাভাঙ্গা উনিসবিশা অঞ্চলের শিলডাঙ্গা বাজারের ৭০ টি পরিবার বিজেপি পদ্ম শিবিরের মায়া ত্যাগ করে উন্নয়নের স্বার্থে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা তুলে নেন হাতে। এদিন তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন মাথাভাঙার পৌর প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য তথা বর্ষিয়ান তৃণমূল কংগ্রেস নেতা গিরীন্দ্রনাথ বর্মন।
গিরিন বাবু বলেন, ভোট পরবর্তী সময়ে এবং করোনা পরিস্থিতিতে বিজেপি এই পরিবারগুলিকে কোন রকম সহযোগিতা করেনি, তাদের পাশে সবসময় তৃণমূল কংগ্রেস ছিল। ঠিক সেই কারণেই তারা তাদের সঠিক পথ বেছে নিতে দ্বিধাগ্রস্থ হয়নি। বেশ কিছুদিন থেকেই তারা দলে যোগদানের দাবি জানিয়েছিল, আজ আমরা তাদের আনুষ্ঠানিক ভাবে দলে যোগদান করালাম। বিজেপির জেলা কনভেনার অভিজিৎ বর্মন নিজেই থাকেন মাথাভাঙ্গা বিধানসভা এলাকায়, তার পরেও ভাঙ্গন রুখতে পারছে না বিজেপি। এই চিন্তায় এখনকার ঘাম ছোটাচ্ছে জেলা বিজেপি শিবিরে।
অনান্য খবর- পেট্রোল সেঞ্চুরি করতেই এবার শিলিগুড়িতে কেক কেটে অভিনব কায়দায় প্রতিবাদ তৃণমূলের
স্মার্টফোন আসক্ত হয়ে যাচ্ছে আপনার শিশু? সাবধান হন! ৫ টি কুফল এবং প্রতিকারের উপায় জানুন
মাথাভাঙ্গা ফের বিজেপি শিবিরে ভাঙ্গন, তৃণমূলের ৭০ পরিবার
পরের খবর- আজ ৩০ শে জুন হুল দিবস, তাৎপর্য
৩০ জুন, ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিবস, যা ঐতিহাসিক সাঁওতাল হুল দিবস বা সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস নামে পরিচিত। মহাজন ও দাদন ব্যবসায়ীদের শোষণ-নিপীড়ন এবং ব্রিটিশ পুলিশ-দারোগাদের অত্যাচারে নিষ্পেষিত সাঁওতাল জনগণের মুক্তির লক্ষ্যে ১৮৫৫ সালে সিধু মুরমু ও কানু মুরমু এবং দুই ভাই চান্দ ও ভাইরো ভারতের নিজ গ্রাম ভগনাডিহতে এক বিশাল সমাবেশের ডাক দিয়েছিলেন। সাঁওতাল জনগণ মহাজন ও দাদন ব্যবসায়ীদের নিপীড়নে নিঃস্ব হয়ে পড়েছিল সে সময়। মহাজনের ঋণের ফাঁদে পড়তে হতো বংশপরম্পরায়। স্ত্রী-পুত্ররা মহাজনের সম্পত্তি হয়ে পড়ত। পুলিশের সহায়তায় তাদের গবাদিপশু ও জমি কেড়ে নেওয়া হতো। প্রতিবাদ করলে পাল্টা গ্রেপ্তারের শিকার হতো; এমনকি সে সময় ব্রিটিশ সরকারের উল্টো খড়্গ নেমে আসত তাদের ওপর। পুরো খবর