Friday, April 26, 2024
Homeআলিপুরদুয়ারফিল্মি কায়দায় স্ত্রীকে খুনের ছক, হাসিমারা এশিয়ান হাইওয়েতে অন্তঃসত্ত্বা খুনের অভিযুক্ত গ্রেফতার

ফিল্মি কায়দায় স্ত্রীকে খুনের ছক, হাসিমারা এশিয়ান হাইওয়েতে অন্তঃসত্ত্বা খুনের অভিযুক্ত গ্রেফতার

আলিপুরদুয়ারঃ অবশেষে ধরা পড়লো হাসিমারা সংলগ্ন ৪৮ নম্বর এশিনয়ান হাইওয়ে ফ্লাইওভারে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা খুনের অভিযুক্ত। ফিল্মি কায়দায় নিজের স্ত্রী মজিদা বেগমকে খুন করার ছক কোষেছিলেন এক্রামুল হক। তবে এই ঘটনার অভিযুক্ত শুধু এক্রামুল নন, তার সঙ্গে ছিলেন তার বান্ধবী রাহেলা সুলতানাও। মূলত এই ঘটনার পিছনে ছিল ত্রিকোণ প্রেম। এক্রামুলের ওপর পুলিশের প্রথম থেকেই সন্দেহ ছিল, এরপর সোমবার কোচবিহারের এক নার্সিংহোম থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই তাকে জেরা করে পুলিশ, জেরা করতেই সব সত্য পুলিশের সামনে উগলে দেয় এক্রামুল।জিজ্ঞেসাবাদ করলে সে পুলিশকে জানায়, ১৩ই জানুয়ারি বৃহস্পতিবার, সে এবং তার স্ত্রী জয়গাঁ থেকে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময়, মাঝ রাস্তায় এক্রামুলের বান্ধবী রাহেলা সেই গাড়িতে ওঠেন এবং অল্প দূর যেতেই সে মজিদার গলার নলি কেটে দেয় এবং ঘটনাটিকে ছিনতাই দেখানোর জন্য রাহেলা এক্রামুলের পিঠেও চাকু দিয়ে আঘাত করে।’

রাহেলা সুলতানা মাদারিহাটের বাসিন্দা। সত্য সামনে আসতে রাহেলাকেও তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উল্লেখ্য, এই দম্পতির বাড়ি কোচবিহারের ঘোকসাডাঙা থানার কুশিয়ারবাড়ি গ্রামে। এর মধ্যে মৃত মজিদা বেগম আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। এছাড়াও এক্রামুল ও মজিদার একটি সাত বছরের ছেলেও রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার, রাতে হাসিমারা এশিয়ান হাইওয়ে হয়ে বাড়ি ফেরার পথে হামলার শিকার হন এক্রামুল ও তার স্ত্রী মজিদা। এই ঘটনায় মজিদাকে খুন করার পাশাপাশি তার গয়নাও ছিনতাই হয়েছে বলেও দাবি করা হচ্ছিল। এরপরই কিন্তু এর তদন্তের জন্য জয়গাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়।

এ বিষয়ে জেলা সুপার ওয়াই রঘুবংশি জানিয়েছেন,’ এটি ছিনতাই বা ডাকাতি না,এটি একটি পরিকল্পিত খুন। অভিযুক্তরা এটিকে ছিনতাই বা ডাকাতি দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন। তবে আমাদের পুলিশ আধিকারিকদের সামনে তারা সত্যকে আর বেশি দিন চাপা রাখতে পারেননি।’ তিনি জানান, ‘গত ৪ দিন ধরেকোচবিহার হাসপাতাল, ঘোকসাডাঙা, বীরপাড়া এবং হাসিমারায় ক্যাম্প করে বিভিন্ন ক্লু সংগ্রহ করেছিল।’

এছাড়াও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘আমাদের প্রথম থেকেই এক্রামুলের ওপর সন্দেহ ছিল, সেই অনুযায়ী সে নার্সিংহোম থেকে ছাড়া পেতেই তাকে জেরা করা হয়,এরপর সে এবং তার বান্দবী সব সত্য উগলে দেয়।মূলত বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই এই খুন। তাদের মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ার কোর্টে তোলা হয়েছে।’

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

More News

Recent Comments