পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যানের পর মঙ্গলবার বাঁকুড়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোষে পড়লেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু। টেন্ডার নিয়ে সরাসরি দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মৃত্যুঞ্জয়কে সতর্ক করে দেন মমতা। জেলা পরিষদের টেন্ডারগুলি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট ৭ দিনের মধ্যে তাঁর দফতরে জমা দিতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কাছে সরাসরি জানতে চান, পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি সহ প্রশাসনিক স্তরের কর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করা হয় কি না? দৃশ্যত অস্বস্তিতে পড়ে দলের সভাধিপতি আমতা আমতা করতে থাকেন।
মমতা সাফ জানিয়ে দেন, যেসব টেন্ডার হচ্ছে, তার বেশিরভাগ কোন বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ পাচ্ছেন? পিডব্লুডি কি? প্রথমে এড়িয়ে যেতে চাইলেও মৃত্যুঞ্জয়কে চেপে ধরায় তিনি স্বীকার করে নেন, অধিকাংশ টেন্ডার পিডব্লুডি পায়। সঙ্গে সঙ্গে মমতা ধমক দিয়ে বলেন, আমার কাছে সব খবর থাকে। হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিতে পারি।
সভাধিপতিকে আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা বলেন, এসডিও-বিডিও এবং ডিএমের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করতে হবে। আমার কোনও অফিসারকে ডিস্টার্ব করা চলবে না। ফাঁক পেলেই ডিএমদের বিরুদ্ধে কলকাঠি নাড়বে, তা হতে দেব না।