Saturday, May 4, 2024
Homeরাজ্যউচ্চ আদালতের নির্দেশে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের মাথায় হাত

উচ্চ আদালতের নির্দেশে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের মাথায় হাত

উচ্চ আদালতের নির্দেশে মাথায় হাত প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের। তবে তাঁরা সবাই তো আর বেআইনি উপায়ে চাকরি পাননি। তবে কেন তাঁদের চাকরি বাতিল কর হল? হাই কোর্টের রায়ের পর এই নিয়ে আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম যে ব্যাখ্যা করলেন, তা থেকে মনে করা হচ্ছে, রাজ্য সরকারের ‘গাফিলতির’ কারণেই প্রায় ২৬ হাজার জন চাকরি হারালেন। এই নিয়ে কী বললেন অ্যাডভোকেট? এর আগে এই মামলার শুননির সময় প্রকৃত চাকরিপ্রাপকদের হিসেব দিতে বলা হয়েছিল রাজ্য সরকারকে। তবে রাজ্য সরকার আদালতের নির্দেশ মতো তা করতে পারেনি। এদিকে দেখা যায়, এসএসসির যত সুপারিশ ছিল, তার থেকে বেশি লোক চাকরি করছে। অর্থাৎ সুপার নিউমেরিক পোস্টেও প্রচুর বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছে। সেই কারণেই হাই কোর্ট জানিয়েছে, ২০১৬-র গোটা প্যানেল বাতিল করতে ‘বাধ্য’ হচ্ছেন তারা।।

প্রসঙ্গত, বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ সবির রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ রায়দান করে বলে, ২০১৬ সালে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দ্বাদশে নিয়োগ পাওয়া এসএসসি চাকরিপ্রাপকদের সবার চাকরি বাতিল হবে। পর্যবেক্ষণে উচ্চ আদালত বলে, মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেলে যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের চাকরি বৈধ হতে পারে না। অন্যদিকে চাকরিহারাদের ৪ সপ্তাহের মধ্যে সব বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। প্রাপ্ত বেতনের ওপর ১২ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে চাকরিহারাদের। এর জন্যে চাকরিহারাদের ৪ সপ্তাহ সময় দিয়েছে হাই কোর্ট। এই টাকা জেলাশাসকের কাছে জমা করতে হবে তাঁদের। পরে জেলাশাসক পরবর্তী ২ সপ্তাহের মধ্যে ওই টাকা হাই কোর্টে জমা দেবেন।

অপরদিকে এসএসসি-কে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুরও নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থীর ওমএমআর শিট পুনর্মূল্যায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। টেন্ডার ডেকে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে বলল আদালত। এর পাশাপাশি এসএসসির সার্ভারে দ্রুত ওএমআর শিট আপলোড করতে বলেছে হাই কোর্ট। এদিকে হাই কোর্ট জানিয়ে দেয়, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত জারি রাখবে সিবিআই। নির্দেশে বলা হয়েছে, ‘যাকে প্রয়োজন, তাকেই হেফাজতে নিতে পারবে সিবিআই’।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

More News

Recent Comments