কোচবিহারঃ পুলিশি পাহারা রয়েছে, রয়েছে নিজেদের নিরাপত্তা রক্ষীরাও। কিন্তু তারপরেও একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটছে কোচবিহার এম জে এন কলেজ ও হাসপাতালে। গতকাল ওই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এমআরআই কক্ষের এসি মেশিনের কপার তার চুরি হয়ে যাওয়ায় অনির্দিষ্ট কালের জন্য এম আর আই পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেল। এতে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এম এস ভিপি রাজেন্দ্র প্রসাদ।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এনিয়ে গত এক বছরে ৭ টি চুরির ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যেকবার পুলিশকে জানানো হয়। কিন্তু পুলিশ চুরির কিনারা করতে পারে না। এভাবে চলতে থাকলে এক সময় হাসপাতালের পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাবে। সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়বে।” এম এস ভিপি আরও জানিয়েছেন, এর আগে আই সি ইউ রুমে, হাসপাতালের ভি আই পি রুমে, মাতৃ মা’র অপারেশন থিয়েটারে এবং মর্গের এসি মেশিনের কপার তার চুরি হয়েছে। প্রত্যেকবার চুরির ঘটনার পর বেশ কিছুদিন ধরে পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে। মাতৃ মা’তে এসি ছাড়া অপারেশন করতে হয়েছে। মর্গে দেহ রাখা সম্ভব হয় নি। একাধিক সি সি টিভি ক্যামেরাও চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ। চুরির ঘটনার পর টাকা বরাদ্দ করে তারপরে মেরামতির কাজ করতে হয়। ফলে দীর্ঘ সময় পরিষেবা বিঘ্নিত হতে থাকে। এবার এমআরআই সেকশন কত বন্ধ থাকবে, তা সঠিক ভাবে বলতে পারছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
অনান্য খবর- দীঘায় পর্যটকদের ভীড় জমতে শুরু করেছে।
কোচবিহার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ এমআরআই পরিষেবা
অনান্য খবর- যার হাত ধরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন, মাথাভাঙা পৌর প্রশাসক মন্ডলী থেকে বিতাড়িত তিনি
জানা গিয়েছে, কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে প্রত্যেকদিন ৩০ থেকে ৪০ টি এম আর আই করা হয়। সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে ওই পরিষেবা দেওয়া হয়ে থাকে। বেশীর ভাগ গরীব মানুষ বাইরে থেকে এই পরিষেবা আর্থিক সঙ্কটের জন্য নিতে পারেন না। সেই কারণে হাসপাতালে বিনামূল্যের এই পরিষেবা পেতে দীর্ঘ লাইন লাগে। একটি এজেন্সির মাধ্যমে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা কর্মী না থাকলেও তারাই মূলত গোটা হাসপাতালের নিরাপত্তা দিয়ে থাকেন। এছাড়াও হাসপাতালে পুলিশ পাহারার ব্যবস্থাও রয়েছে। তারমধ্যে এভাবে চুরির ঘটনা ঘটতে থাকায় উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ প্রশাসনকে সক্রিয় হওয়ার আবেদন জানিয়েছে শহরের বিভিন্ন মহল।