শান্তনু পান, পশ্চিম মেদিনীপুর: জামাই পরব উপলক্ষ্যে একদিন ব্যাপী ৮ টি দলকে নিয়ে ফুটবল প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়েছিল কেশিয়াড়ী ব্লকের সাতরাপুর পঞ্চায়েতের কমলাপুর ফুটবল ময়দানে। মকর সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে গত শনি ও রবিবার জামাই পরবের আয়োজন করা হয়েছিল কমলাপুর এলাকায়। এই পরবকে ঘিরে জঙ্গলমহল এলাকায় বিশেষ জনজাতিভুক্ত সম্প্রদায়ের মানুষদের মধ্যে উচ্ছ্বাস উদ্দীপনা ছিল ব্যাপক।
খেরয়াল সাঁওতা আরিচালি লাওন্তা গাঁওতা ব্যানারে এই অনুষ্ঠাটি পরিচালনা হচ্ছে বলে জানান এক উদ্যোক্তা। দুই দিন ব্যাপী এই পরবের রবিবার ছিল শেষ দিন। এদিন ফুটবল প্রতিযোগিতার পাশাপাশি সন্ধ্যায় মোমবাতি প্রজ্জ্বলন, মিউজিক্যাল চেয়ার সহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন উদ্যোক্তারা। বিশেষত পরিবারের ভাই বোন, আত্মীয়স্বজন, জামাইদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। কারন সবাই সারা বছর যে যেখানে থাকুক, বছরে এই পরবে সবাই উপস্থিত হয়ে সবাই একে ওপরের সঙ্গে সৌহার্দ্য বিনিময় করে ,আনন্দে মেতে উঠে।
জামাই পরব উপলক্ষ্যে ফুটবল প্রতিযোগিতা কেশিয়াড়ীতে
কমলাপুর, রাণীবাঁধ, তালাডিহি, কুচলাচাটি এলাকার মানুষজন এই উৎসবে মেতে ওঠেন। শুধু প্রতিযোগিতা নয় আদিবাসী সংস্কৃতি ধামসা মাদলের তালে সাংস্কৃতিক কর্মসূচি চলে দুদিন ধরে। মাথায় কলসী নিয়ে নৃত্যের বিশেষ আকর্ষণ থাকে প্রতিবছর। রবিবার সন্ধ্যায় সারা দিন ধরে চলা ফুটবল প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরনী সভা আয়োজিত হয়। এদিনের এই পুরষ্কার বিতরনী সভায় বিজয়ী ও বিজীত দুই দলের হাতে পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয় অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে। বিজয়ী হয় লক্ষ্মণ মান্ডি স্পোর্টিং ক্লাব, বিজীত হয় জি টি কাদাম ঝর্না ক্লাব। পুরষ্কার বিতরনী সভা শেষে সারারাত্রী ব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন ছিল এদিন। পুরষ্কার বিতরনী সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী ভদ্র হেমব্রম,কেশব হাঁসদা, ঠাকুর মুর্ম্মু, পূর্নচন্দ্র সরেন, অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা দুর্গাপ্রসাদ হেমব্রম সহ অনেকেই।
অনান্য খবর- রথ যাত্রা ই রথের রশিতে টান দিলেন শুভেন্দু অধিকারী
পরের খবর- পি কে দাস মেমোরিয়াল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট জিতল কালমাটি নবপ্রভাত যুব ক্লাব
দিনহাটা,২৬ শে জানুয়ারী: প্রতিবছরের মতো এবারও দিনহাটা ২ নং ব্লকের চৌধুরী হাট আপু সংঘের পরিচালনায় পি কে দাস মেমোরিয়াল টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট আয়োজিত হয়েছিল। চৌধুরীহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মঙ্গলবার ফাইনাল খেলায় মুখোমুখি হয় বলরামপুর একাদশ এবং কালমাটি নবপ্রভাত যুব সংঘ ক্লাব। প্রথমে ব্যাট করে কালমাটি নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৯৫ রানের বিশাল পাহাড় রান খাড়া করে। এর জবাবে ব্যাট করতে নেমে ধরাশায়ী হয়ে পড়ে বলরামপুর একাদশ। মাত্র ৮ ওভারেই ৯০ রানে গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। এদিন ফাইনাল খেলার শুভ সূচনায় উপস্থিত ছিলেন দিনহাটা ২ নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বীরেন রায়, চৌধুরীহাট আপু সংঘের সভাপতি বিশ্বরূপ সরকার, সম্পাদক সৌরভ সরকার এবং আরো অনেকে।
অনান্য খবর- দীঘায় পর্যটকদের ভীড় জমতে শুরু করেছে।
খেলা শেষে বিজয়ী এবং পরাজিত দলের হাতে ট্রফি এবং ক্যাশ টাকা তুলে দেওয়া হয়। ম্যাচের এবং সিরিজের সেরা হয়েছেন বিষ্ণু রায়। এছাড়াও প্রতিটি ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়, সেরা ফিল্ডার, ব্যাটসম্যান সহ বিভিন্ন পুরস্কার ছিল। এদিনের ফাইনাল খেলা দর্শক সাধারণের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। আপু সংঘের সভাপতি বিশ্বরূপ সরকার বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও আমাদের এই টুর্নামেন্টে সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হল। তবে এ বছরের ফাইনাল খেলা বেশ আকর্ষণীয় হয়েছে। বিজয়ী দল ২৯৫ রানের বিশাল পাহাড় খাড়া করেছিল তা আমাদের এই ২১ বছরের ক্রিকেট টুর্নামেন্টের রেকর্ড। আমরা আশা রাখি পরবর্তী বছরে আবারো এই টুর্নামেন্টে পরিচালনা করতে পারব। বিজয়ী দলকে অভিনন্দন জানাই। এই খেলা পরিচালনায় অনেকেই আমাদের সহযোগিতা করেছেন তাদের সকলকে ধন্যবাদ। আপু সংঘের সকল সদস্যকেও অনেক ধন্যবাদ জানাই।