Wednesday, May 1, 2024
Homeরাজ্যমুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি, আলোচনার জন্য ডেকে পাঠালেন রাজ্যপাল

মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি, আলোচনার জন্য ডেকে পাঠালেন রাজ্যপাল

রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আবারও সোচ্চার হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠালেন রাজ্যপাল। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিও দিয়েছেন রাজ্যপাল। সেই চিঠির ছবি টুইটারে শেয়ার করেছেন রাজ্যপাল।

টুইটারে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় লিখেছেন, কলকাতা হাইকোর্টে যে বিশৃঙ্খলা হয়েছে তা নিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা চান। অন্যদিকে, রাজ্যে সাম্প্রতিক সময়ে যেভাবে নারীদের উপর বর্বোরিচত অপরাধের ঘটনা ঘটছে, সে নিয়েও কথা বলতে চান। পাশাপাশি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির বিষয়টিও উত্থাপন করেছেন রাজ্যপাল।

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজভবনে ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সাতদিনের সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকও সেরেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেদিনের সাক্ষাতের একটি ভিডিয়ো টুইট করেছিলেন জগদীপ ধনখড়।

সে বার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় লিখেছিলেন, “যত দ্রুত সম্ভব রাজভবনে দেখা করুন। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। CBI-এর বিরুদ্ধে পথে নেমে প্রতিবাদ করার যে মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রী করেছেন, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। আদালতের নির্দেশে রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করছে CBI। এ ব্যাপারে যাবতীয় পদক্ষেপ আইনের পথে চলবে। রাস্তায় নেমে নয়।” চিঠিতে তাঁর আরও সংযোজন, “রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়াবহ। রামপুরহাটের হিংসার ঘটনায় তা বোঝা গিয়েছে। যে ন্যক্কারজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেখানে তা রীতিমতো উদ্বেগ তৈরি করছে। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অন্দরেও যে ঘটনা ঘটেছে তা নিন্দনীয়। এই চরম আইনশৃঙ্খলার অবনতির কারণে অবিলম্বে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।”

প্রসঙ্গত, এদিন কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবীদের একাংশের বিক্ষোভ ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে। জানা গিয়েছে, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস বয়কট করতে চেয়ে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের আইনজীবীদের একাংশ।১৭নং কোর্টের সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ওই ঘরে ঢোকার চেষ্টা করেন বর্ষীয়ান আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও তাঁর জুনিয়র সহকর্মীরা। তাঁদের সঙ্গেই ওই এজলাসে ঢোকার চেষ্টা করেন বার অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি কল্লোল মণ্ডল ও কেন্দ্রের অ্যাসিস্ট্যান্ট সলিসিটর জেনারেল বিল্বোদল ভট্টাচার্য। তাঁদের সঙ্গে বয়কটপন্থীদের খানিকটা ঠেলাঠেলি হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় আলোচনা করতে চেয়ে যেভাবে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করার কথা বলেছেন রাজ্যপাল, তা উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি, হাঁসখালি-সহ রাজ্যের একাধিক এলাকায় ধর্ষণের মতো বর্বরোচিত ঘটনা যেভাবে সামনে এসেছে, সে বিষয়টিও যেভাবে উল্লেখ করলেন রাজ্যপাল, তা রাজনৈতিক দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

More News

Recent Comments