খবরের জেরে অবশেষে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার সুযোগ পেল গিতালদহ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী রুজিনা খাতুন। আজ সকালেই ইমেইল মারফত রুজিনার রোল নম্বর সহ্ একাধিক তথ্যাদি পাঠানো হয় বোর্ড থেকে। আর সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই রীতিমত উচ্ছ্বসিত ওই ছাত্রী তার পরিবার সহ এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে রুজীনার মামা মাসুম আক্তার সংবামাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে জানান তার ভাগ্নির অ্যাডমিট না আসায় সকলে যেভাবে যোগাযোগের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাতে তিনি কৃতজ্ঞ। পাশাপাশি তিনি সকলের কাছে রূজিনার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য আশীর্বাদ কামনা করেন।
একই সুর গিতালদাহো উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মলয় কুমার দাসের গলাতেও। তিনিও সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। পাশাপশি তিনি এটাও জানান কারো একার প্রয়াসে এটা সম্ভব ছিল না। সবাই একযোগে যোগাযোগ করেছে জন্যই এই অসাধ্য সাধন হয়েছে।
গিতালদাহো উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালন কমিটির সভাপতি মুস্তাফা খন্দকার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে কি করে এই অসাধ্য সাধন হয়েছে তার প্রসঙ্গ টেনে আনেন। এছাড়াও রুঁজিনার মাধ্যমিক পরীক্ষার ভালো ফল কামনার পাশাপাশি তিনি এই কাজের সঙ্গে যুক্ত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এছাড়াও তিনি সকলকে আশ্বস্ত করেন, পরিক্ষা পর্ব মিটে যাওয়ার পর তিনি এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করবেন এবং যদি কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে এই ভুল করে থাকে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।
অপরদিকে দিনহাটা ১ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র পরিষদের সভাপতি আনারুল হক বলেন, তারা তাদের দলের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করেছিল।
উল্লেখ্য গত পরশুদিন সংবাদপত্র নিউজ পোর্টাল সবার আগে খবর করে স্কুলের ক্লার্কের গাফিলতিতে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে পারবে না গিতালদাহো উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী রুজিনা খাতুন। আর তারপরেই ব্যাপারটি রীতিমত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এমনকি বাংলার বেশ কয়েকটি প্রথম সারির সংবামাধ্যমগুলোতেও এই খবর প্রকাশিত হয়। আর তারপরেই নড়েচড়ে বসে জেলা শাসক, মহকুমা প্রশাসক, বিধায়ক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি সহ একাধিক প্রশাসনিক কর্তারা। আর তাদের সকলের যৌথ প্রয়াসেই আজ মুখে একরাশ হাসি নিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে রুজিনা।