সুদীপ্ত দাস, বারাসাত,১৮ই মার্চ :- ডবল সেঞ্চুরি আগেই হয়েছে, এবার ট্রিপল সেঞ্চুরি করলো মুরগির মাংসের দাম। সপ্তাহ শেষে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সদর শহর বারাসাতের ছবিটাও একই। বারাসাতের বিধানমার্কেট, বড়বাজার, নবপল্লী ছোট বাজার, নতুনপুকুর বাজার, কাজীপাড়া বাজার কিংবা হেলাবটতলার সংলগ্ন প্রতিটা বাজারেই মুরগির মাংসের দাম তিনশো ছুঁয়ে।
এরপর খাবারের মেনুতে চিকেন থাকবে তো? উদ্বেগ বাড়ছে। খাবার পাতে প্রোটিনের টান নিয়ে চিন্তা বাড়ছে বারাসাতবাসীর। সেই নিয়েই তৈরি হচ্ছে উদ্বেগের পরিস্থিতি।
চলতি সপ্তাহের শেষে মুরগির মাংসের দাম প্রায় অনেকটাই বেড়েছে, যা সাধারণ বাঙালির কাছে কল্পনাতীত। বাজারে ক্রেতা আসছেন, মুরগির দোকানে টাঙানো বোর্ড দেখে উদাসীন মুখে বাড়ি ফিরছেন, কিংবা মাংস কিনলেও কিনতে হচ্ছে স্বল্প পরিমাণে। কারণ, দাম যে মাত্রাছাড়া!
ব্রয়লার মুরগির একমাস আগেও দাম ছিল দেড়শো টাকা। একমাসে সম্পূর্ণ দু-গুণ দাম বাড়ায় নাভিশ্বাস ক্রেতাদের। শুধু ক্রেতাদের চিন্তার কারণ বললে ভুল হবে। বিক্রেতা ও মুরগি ব্যবসায়ীদেরও কপালে ভাঁজ। বিক্রি কমায় হতাশা বাজার জুড়ে। লালু মজুমদার নামে বারাসাতের এক মুরগি ব্যবসায়ীর কথায়, “শুধু ব্রয়লার নয়, দেশি মুরগি, সোনালী মুরগি সবেরই দাম বেড়েছে। মুরগির মূল্যবৃদ্ধি কেনাবেচায় প্রভাব ফেলছে। সাধারণ মানুষ মুখ ফেরাচ্ছে, ফলে ব্যবসায় ভালো মতোই টান রয়েছে।”
তবে চিকেনের কেন এই দাম বৃদ্ধি? বারাসাতের বিধানমার্কেটের এক মুরগির মাংস বিক্রেতা অভিজিৎ কুন্ডু জানান, “ক্রমাগতভাবে মুরগির বাচ্চা, ঔষধ ও খাদ্যের দাম বেড়েই চলেছে। ফলস্বরূপ মুরগির মাংসের দাম বাড়ছে।”
কিন্তু সাধারণ বাঙালি এত কিছুর হিসেব কী বোঝে? দুপুরে খাবার পাতে মুরগির মাংসের আশায় থাকেন বহু বাঙালি। কিন্তু চড়া দামে তাদেরও আর মুরগির মাংস কিনতে মন চাইছে না। বারাসাতের নতুনপুকুর বাজারে সকাল সকাল বাজার করতে আসা শ্রীকান্ত ঘোষ জানান, “মাংসের দাম তো অনেকটাই বেড়েছে। একসপ্তাহে এতটা পরিবর্তন আমরা আশা করিনি। এখন কিছুদিন মুরগির মাংস খাওয়া বন্ধ থাকুক। আবার দাম কমলে কেনা যাবে।”