মণিপুরে তুঙ্গে হিংসা, উত্তেজনা। এরই মধ্যে উদ্বেগের ছবি। প্রকাশ্যে এসেছে চাঞ্চল্যকর এক ভিডিয়ো। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, নগ্ন অবস্থায় দু’জন মহিলাকে জোর করে রাস্তা দিয়ে রীতিমতো ছোটাচ্ছেন একদল যুবক। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে। এক আদিবাসী সংগঠনের দাবি, ওই দুই মহিলা গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তাঁদের দু’জনকে একটি মাঠের মধ্যে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
রাতের দিকে এনিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন মণিপুর পুলিশের সুপার কে. মেগাচন্দ্র সিং। ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে ও অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে। তবে ঘটনায় ক্ষোভ মোটেও কমছে না। তৃণমূল কংগ্রেস টুইট করে ন্যাক্কারজনক এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
সূত্রের খবর, ভাইরাল এই ভিডিয়োটি তোলা হয়েছিল ৪ মে। তার আগের দিনই মণিপুরে দুই জনজাতি কুকি ও মেইতেইদের মধ্যে শুরু হয়েছিল সংঘর্ষ। ভিডিয়োতে দুই নির্যাতিতা কুকি সম্প্রদায়ভুক্ত বলে খবর। রাজ্যের জনজাতি সংগঠন আইটিএলফ (ITLF)-এর দাবি, কুকি-জো সম্প্রদায়ের ওই দুই মহিলার উপরে অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে মেইতেইরা। ৪ মে এই ঘটনা ঘটে কাংপোকপি জেলায়। কেঁদে কেঁদে কার্যত প্রাণ ভিক্ষা করছিলেন দুই মহিলা। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁদের কথায় কর্ণপাত করা হয়নি। বরং কোনও কথা না শুনেই তাঁদের নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ।
মণিপুরের ভাইরাল ভিডিয়োর ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার হৃদয় ব্যাথিত। আমি ক্ষুব্ধ। মণিপুরের যে ঘটনা সামনে এসেছে, তা যে কোনও সভ্য সমাজের কাছে লজ্জার। ‘
মণিপুরে ধিক্কারজনক ঘটনা। নগ্ন করে হাঁটানো হল মহিলাদের। ঘটনার ভিডিয়ো টুইটারে ভাইরাল হয়েছে। এরপরেই টনক নড়ে প্রশাসনের। মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতের নাম খুইরুম হেরাদাস। বৃহস্পতিবার সকালে থাউবাল জেলা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
খুইরুম হেরাদাসের বয়স ৩২ বছর। ভাইরাল ভিডিও থেকে পুলিশ তাকে শনাক্ত করেছে। ভিডিয়োতে তাকে সবুজ টি-শার্ট পরিহিত অবস্থায় দেখা গিয়েছে। মণিপুর পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার মূলে রয়েছে খুইরম হেরাদাস। ভাইরাল ভিডিওর অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশের ১২টি দল গঠন করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে চিরুনি তল্লাশি শুরু হয়েছে।