মাতাল হাটের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি রয়েছে বুড়া ধরলা নদীর ভাঙ্গনরোধে নদীর বাঁধের ধার বোল্ডার পাথর দিয়ে বাধানোর জন্য। সেইমতো দীর্ঘদিনের আন্দোলনের পর ২০২২ সালেই নদী বাঁধের ধার এর কাজও শুরু হয়েছে দিনহাটা ১ নং ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে। মূলত ‘এনআরইজিএস’ (100 দিনের কাজ) প্রকল্পের অধীনেই এই কাজের সূচনা করা হয়েছে। তবে এই কাজ চলাকালীন সময়েই দুদিনের সামান্য বৃষ্টিতে নদী বাঁধের মাটি ভেঙে নদীগর্ভে চলে যায়। সেই কারণেই কাজের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে রীতিমতো বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা।
এলাকার কিছু স্থানীয় মানুষ রানা বর্মন, বীরেন্দ্র নাথ রায়, স্বপন কুমার রায় জানান, “প্রতিবছরই নদীর ভাঙ্গনে আমাদের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দীর্ঘদিন যাবৎ নদী ভাঙ্গনের কারণে আমাদের বহু জমি নদীগর্ভে চলে গেছে। তবে ২০২২ সালে হঠাৎই শুনতে পারি নদীর বাঁধ এর কাজ শুরু করা হবে। সেই অনুযায়ী কাজ শুরু হয়েছে দেখলাম। কিন্তু সে কাজের মান এতটাই নিম্ন ছিল যে কাজ চলাকালীন সময়েই সামান্য বৃষ্টিতে নদী বাঁধের মাটি ভেঙে নদীগর্ভে চলে গেছে। আমাদের এখন একটাই দাবি যে নদী বাঁধের কাজ আবার শুরু করা হোক এবং তার গুণগতমান যাচাই করে ভালো করে কাজটা করা হোক। যাতে কিনা ভবিষ্যৎ দিনে আমাদের আর নদী ভাঙ্গনের ভয় নিয়ে বাঁচতে না হয়।”দিনহাটা 1 নম্বর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক মদনমোহন মুর্মু জানান, ঘটনার কথা শুনেছি। আমরা গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। দ্রুত বাঁধের কাজ পুনরায় করে দেওয়া হবে।
বৃষ্টি হলেই বাঁধের মাটিতে ভাঙন! বাঁধের কাজের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ
RELATED ARTICLES