আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন কে সামনে রেখে কর্মীদের এক ছাতার তলায় করতে এবং সংগঠনকে আরো মজবুত করতে শুক্রবার পূর্ব বর্ধমান জেলা বিজেপি কার্যালয়ে এলেন লকেট চ্যাটার্জি। তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য সরকারকে তীব্র ভৎসনা করেন।
ভাইফোঁটার দিন মমতা ব্যানার্জির বাড়িতে ফোটা নিতে যান দলের পুরনো কর্মী মুকুল রায় এবং শোভন চট্টোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তৃণমূল দলটাই দু’ভাগে ভাগ হয়ে গেছে একটা পিসির দল আর একটা ভাইপোর দল । তৃণমূলের বড় বড় নেতা-মন্ত্রীরা এখন জেলে তাই অন্যান্য নেতারা চাইছেন তৃণমূলের কোন শিবিরে গেলে নিজেকে আত্ম সুরক্ষা করতে পারবেন। তাই একবার ভাইপোর দলে এবং একবার পিসির দলে নাম লেখাচ্ছেন বহু পুরনো কর্মী। তৃণমূলের মন্ত্রিসভার সব মন্ত্রীরা আগামী দিনে জেলের ভিতরে থাকবেন আর জেল বন্ধি মন্ত্রীদের নিয়ে এই সরকার চলবে। লকেট চ্যাটার্জি আরো বলেন তৃণমূলের সমস্ত চোরেদের পাশেই তৃণমূলের উচ্চ স্তরের নেতা-মন্ত্রীরা পাশে সর্বদাই রয়েছেন। কিন্তু যে সমস্ত পশ্চিমবঙ্গবাসীর টাকা লুট হয়েছে সর্বস্ব হারিয়েছেন যারা তাদের পাশে ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মীরা সদা সর্বদা রয়েছেন। তিনি আরো অভিযোগ করেন পশ্চিমবঙ্গে ডিয়ার লটারি টিকিট বিক্রির কোটি কোটি টাকা তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে এবং সেই টিকিট এর মাধ্যমে তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের কালো টাকা সাদা হয়ে যাচ্ছে । এইভাবে সাধারণ মানুষের কাছে লটারির নাম করে তৃণমূল দলটা কোটি কোটি টাকা তুলে নিচ্ছে। তার কোন হিসেব নেই। কয়েকদিন আগে অধীর চৌধুরী অভিযোগ করেছিলেন আমেরিকায় চিকিৎসা করানোর সময় লুকিয়ে বিনয় মিশ্রের সঙ্গে দেখা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে লকেট চ্যাটার্জি বলেন এটা তো স্বাভাবিক ব্যাপার , বাংলায় দেখা করলে জানাজানি হয়ে যাবে ওই জন্য লুকিয়ে গোপনে বিদেশে দেখা করে টাকা পয়সার লেনদেন করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিটা রাজ্যে এবং জেলায় এনআইয়ের শাখা খোলার ব্যাপারে তিনি বলেন এই উদ্যোগ খুবই ভালো। বর্তমানে রাজ্যে যে হারে সন্ত্রাস বেড়ে চলেছে চারিদিকে বোম আর বারুদের স্তুপে ভরে রয়েছে সেটিকে নির্মূল করতে কেন্দ্র সরকারের এই ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।