কোচবিহারঃ
কোচবিহার দাবা সংস্থার পক্ষ থেকে বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হল বিখ্যাত দাবাড়ু দিব্যেন্দু বড়ুয়াকে। এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজিত হল কোচবিহার মহারাজা ক্লাবে। রবিবার সকালে এই সংবর্ধনাজ্ঞাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্র্যান্ডমাস্টার দিব্যেন্দু বড়ুয়া। সেখানে তিনি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সহেলী ধর বড়ুয়া সহ আয়োজক সংস্থার আরো অনেকে। এদিন দিব্যেন্দু বড়ুয়া কে সংবর্ধনা জানানোর পাশাপাশি সেখানে ছোট ছোট খুদেদের সাথে দাবা খেলতে দেখা যায় দিব্যেন্দু বড়ুয়া কে। কোচবিহারে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গ্র্যান্ডমাস্টার দিব্যেন্দু বড়ুয়া জানান, এই প্রথম কোচবিহারে এসে ভালো লাগছে। এদিন থেকে কোচবিহারের সারা কোচবিহার দাবা সংস্তার পথ চলা শুরু হল। আগামী দিন এখান থেকে নতুন প্রতিভা উঠে আসবে বলে তিনি জানান।
হাড়িভাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতে অন্তর্কলহ, তৃণমূলের ১১ গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যকে তলবি সভায় যেতে না দেওয়ার হুমকির অভিযোগ
নিজস্বসংবাদদাতাঃ
হাড়িভাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা ১১ জন পঞ্চায়েত সদস্য কে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে হাড়িভাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের অনুগামীরা ভিডিও বার্তা দিয়ে এমনই অভিযোগ তুললেন হাড়িভাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১ জন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য। ইতিমধ্যেই তারা কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপারের কাছে এই ঘটনায় লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট ওই ১১ জন পঞ্চায়েত সদস্যদের অভিযোগ, শনিবার রাত থেকে হাড়িভাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জাহাঙ্গীর আলমের লোকজন নানাভাবে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এমত অবস্থায় তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে তারা জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, হাড়িভাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১ জন পঞ্চায়েত সদস্য প্রধান জাহাঙ্গীর আলমের অপসারণ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এর পরেই অগাস্ট মাসের ১২ তারিখ কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় কোচবিহার 1 নম্বর ব্লকের হাড়িভাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের তলবি সভা করতে হবে। সেইমতো ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে ১৩ ই সেপ্টেম্বর সেই তলবি সভা ডাকা হয়েছে। তার ঠিক আগেই সংশ্লিষ্ট ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন অনাস্থা আনা ১১ জন পঞ্চায়েত সদস্য । একদিকে যেমন কুচবিহার জেলা পুলিশ সুপারকে গোটা বিষয়টি তারা জানিয়েছেন তেমনি কোচবিহারের জেলা শাসককে গোটা বিষয়টি তারা জানিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে বিজেপির কোচবিহার জেলা সভানেত্রী তথা তুফানগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়িকা মালতি রাভা রায় বলেন, কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যে চরমে তার প্রকাশ পাচ্ছে। প্রতিটি অঞ্চলে অনাস্থা আসবে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল চরমে তা প্রমাণিত হচ্ছে। বাংলার মানুষ এবং গোটা কোচবিহার জেলার মানুষ তা দেখতে পারছে। লোকসভা নির্বাচন ও বিধানসভা নির্বাচনে কোচবিহার জেলার মানুষ তাদের মুছে দিয়েছে এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনেও তাদের মানুষ মুছে দেবে। দুর্নীতি ছাড়া কোনদিন তারা উন্নয়ন করেনি এবং আগামীদিনেও করেনি। বাংলার মানুষ এবং উত্তরবঙ্গের মানুষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি কে জেতাবে। প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে কড়াভাবে নির্দেশ দেওয়া হয় কোন গ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থা প্রস্তাব আনা যাবে না । হাড়িভাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থা প্রস্তাব প্রত্যাহারের জন্য জেলা তৃণমূল কংগ্রেস তৎপরতা শুরু করেছে কিন্তু তার মাঝেই এই অভিযোগ সামনে এসেছে এবং সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সেই তলবী সভায় অংশগ্রহণ করবে বলে তারা জানিয়ে দিয়েছেন।