নিউজ ডেস্ক:
প্রাক বিশ্বকাপ ম্যাচে মেসি-নেইমার দ্বৈরথ দেখতে মুখিয়ে ছিল আপামর ফুটবলপ্রেমী। কিন্তু, মাঝপথেই বন্ধ হয়ে গেল ম্যাচ। জানা গিয়েছে, আর্জেন্টিনার তিন ফুটবলারের বিরুদ্ধে কোভিড বিধি ভঙ্গ করার অভিযোগে মাঝপথেই এই ম্যাচ বন্ধ করে দেয় ব্রাজিল পুলিশ। ম্যাচ শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই তিন ফুটবলারকে আটক করে স্টেডিয়ামে পৌঁছন ব্রাজিলের স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। সব মিলিয়ে রবিবার মধ্যরাতের এই ম্যাচে চূড়ান্ত নাটকীয়তার সাক্ষী রইল লাতিন আমেরিকা। মেসি ( Messi)-নেইমারের ( Neymar) ম্যাজিক স্কিল দেখতে না পেয়ে হতাশ সকলেই।
জানা গিয়েছে, আর্জেন্টিনার চার ফুটবলার এমি মার্টিনেজ, ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো, জিওভানি লো সেলসো এবং এমিলিয়ানো বুয়েনডিয়া ১০ দিনের কোয়ারেন্টাইনে নিয়মের মধ্যে ছিলেন। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলার পর আর্জেন্টিনার এই চার ফুটবলারকে ব্রাজিলের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সংস্থা কোয়ারেন্টিনে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। অথচ কোভিড বিধিভঙ্গ করেই তাঁদের মধ্যে তিনজন ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচে খেলতে নামেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই অ্যাস্টন ভিলার এমি মার্টিনেজ, এমিলিয়ানো বুয়েনডিয়া এবং টটেনহ্যামের সেলসো রেমোরো আর্জেন্টিনার হয়ে মাঠে নেমেছিলেন। ম্যাচের আগে ওই চার খেলোয়াড়কে আর্জেন্টিনার টিম বাসে উঠতে দেখা গিয়েছিল। ব্রাজিলের স্বাস্থ্য সংস্থা ওই চার খেলোয়াড়কে যে দেশ থেকে এসেছিলেন, সেই দেশে ফিরে যেতেও নির্দেশ দিয়েছিলেন। ফলে খেলা শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যেই ম্যাচ স্থগিত হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, ব্রাজিলের কোভিড বিধি অনুসারে, ব্রাজিলের নিয়মানুসারে কোভিডের লাল তালিকাভুক্ত দেশগুলি থেকে যারা সে দেশে যাবেন তাঁদের ১৪ দিনের কোয়েরন্টাইনে থাকতে হবে। ইংল্যান্ড, ভারত সেই লাল তালিকাভুক্ত দেশগুলির মধ্যে অন্যতম।
ম্যাচ শুরুর এক ঘণ্টা পর স্থানীয় সময় বিকেল পাঁচটায় ম্যাচ আনুষ্ঠানিকভাবে স্থগিত ঘোষণা করা হয়। লাতিন আমেরিকার ফুটবল নিয়ামক সংস্থা কনমেবলের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, রেফারি ও ম্যাচ আধিকারিকরা পুরো ঘটনার রিপোর্ট ফিফার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির কাছে পেশ করবে। সেখানেই পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।