মাথাভাঙ্গায়:
কলকাতা কর্পোরেশনের ফলাফল শাসক দলের পক্ষে, তাই জেলা পৌরসভা গুলিও আদাজল খেয়ে নেমেছেন উন্নয়নে। জোর কদমে উন্নয়নে এগিয়ে চলছে মাথাভাঙ্গা পৌর এলাকায় বলে দাবি প্রশাসক লক্ষপতি প্রামাণিকের। মাথাভাঙ্গা পৌর এলাকার দীর্ঘদিনের সমস্যা আদালত এলাকার অস্থায়ী দোকান, মুহুরিদের বসার জায়গা, রাস্তা এবং জল নিকাশি ব্যবস্থার পাকাপাকিভাবে সমস্ত সমস্যার সমাধান করতে উদ্যোগী হয়েছে পৌরসভা। লক্ষপতি প্রামানিক জানান, প্রায় 30 থেকে 35 লক্ষ টাকার কাজ হবে শুধু এইটুকু এলাকায়। থাকছে নতুন জল নিকাশি ব্যবস্থার নিকাশি নালা, মুহুরী দের বসার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা, রাস্তাঘাট চওড়া করা হচ্ছে নতুনভাবে আরো পোক্ত ভাবে তৈরি করা হচ্ছে, তৈরি হচ্ছে বার কাউন্সিলের দেওয়াল। আগামী এক মাসের মধ্যে সমস্ত কাজ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পূর্ত দপ্তরকে। সম্পূর্ণ কাজের তত্ত্বাবধান করছেন স্বয়ং মহকুমা শাসক। পাশাপাশি পিছিয়ে নেই মাথাব্যথা পৌর এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা প্রাক্তন উপ পৌরপ্রধান চন্দন দাস। শহরের বিভিন্ন এলাকায় সকাল থেকেই দেখা যাচ্ছে তাকে। এলাকার কোথায় সাধারণ মানুষের কি সমস্যা হচ্ছে এবং কিভাবে তা সমস্যার সমাধান হবে এই বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি। একই সাথে বিভিন্ন ওয়ার্ডের রাজনৈতিক সমাজসেবী রা উঠে-পড়ে লেগেছেন উন্নয়নে। একটাই দাবি মাথাভাঙা পৌরসভাকে শাসকদলের হাতে উপহার দেওয়া। বলা বাহুল্য, 2015 সালে প্রথম মাথাভাঙ্গা পৌরসভা তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে আসে। তারপর থেকেই কার্যত উন্নয়ন শুরু হয়েছে এলাকায়। সড়ক বাতি থেকে শুরু করে উন্নত মানের পানীয় জল সরবরাহ, বাচ্চাদের খেলার পার্ক, সবই হয়েছে মাত্র কয়েক বছরে। সুতরাং মাথাভাঙ্গা পৌরসভা পৌর নাগরিকদের সান্নিধ্যে পুনরায় তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসতে চলেছে বলেই দাবি নেতৃত্তের।।