শনিবার আনুমানিক দুপুর নাগাদ বাটা মোড় এলাকায় এক টোটো চালকের তৎপরতায় পাচারকারীর হাত থেকে রক্ষা পেল এক নবম শ্রেণীর ছাত্রী। জানাগেছে দীর্ঘদিন ধরে সৎ মায়ের নির্যাতনের শিকার হচ্ছিল আলিপুরদুয়ার ২ নম্বর ব্লকের পশ্চিম চিকলিগুড়ি এলাকার এক নবম শ্রেণীর ছাত্রী। অবশেষে সৎ মায়ের সেই হাত থেকে বাঁচতে অবশেষে পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ওই স্কুল পড়ুয়া। এদিন সকাল ১১ টা নাগাদ সেইমত বাড়ি থেকে বেরিয়ে চিকলিগুড়ি বাজারে উপস্থিত হয় ওই স্কুল ছাত্রী। থানায় যাওয়ার জন্য পাড়াতো এক কাকার কাছে সাহায্য চায় ওই ছাত্রী। এরপরেই থানায় নিয়ে যাওয়ার নামে ওই স্কুল ছাত্রীকে টোটোয় চাপিয়ে আলিপুরদুয়ার নিয়ে আসে পারাতো ওই অভিযুক্ত কাকা। আলিপুরদুয়ার পৌঁছতেই ওই স্কুল ছাত্রীর সন্দেহ জাগে। কারণ ওই কিশোরীর বাড়ির পাশেই কয়েক কিলোমিটার দূরে রয়েছে স্থানীয় ভাটিবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ি। এরপর আলিপুরদুয়ার চৌপতি এলাকা থেকে ফের আরেকটি টোটোতে চাপিয়ে স্কুলছাত্রীকে বীরপাড়া চৌপতির দিকে নিয়ে যাচ্ছিল ওই অভিযুক্ত কাকু। সেই সময় দুজনের কথা কাটাকটি শুনে ওই টোটো চালক কার্তিক বিশ্বাস এর সন্দেহ জাগে। এরপরেই টোটো চালক কার্তিক বিশ্বাসকে ত্রাতার ভূমিকায় লক্ষ্য করা যায়। জানাগেছে আলিপুরদুয়ার পৌরসভার বাটা মোড় এলাকায় তৎক্ষণাৎ টোটো থামিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের নাবালিকা পাচারের সন্দেহের কথা খুলে জানায়। এরপরে স্থানীয় বাসিন্দাদের চাপে পড়ে সমস্ত ঘটনা খুলে জানায় অভিযুক্ত কাকা ও ওই স্কুল ছাত্রী। জানাগেছে ওই নবম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীকে জোরপূর্বক বিয়ে করার নাম করে কোন এক অজ্ঞাত জায়গায় নিয়ে যাচ্ছিল অভিযুক্ত। সমস্ত ঘটনা পরিষ্কার হতেই আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেতেই আলিপুরদুয়ার থানার আইসি অনিন্দ্য ভট্টাচার্য তড়িঘড়ি অন্যান্য পুলিশ কর্মীদের নিয়ে ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধারের জন্য উপস্থিত হন। এবং ঘটনাস্থল থেকেই অভিযুক্ত কাকাকে আটক করে পুলিশ।
টোটো চালকের তৎপরতায় আলিপুরদুয়ারে পাচারচক্রের হাত থেকে রক্ষা পেল এক কিশোরী
RELATED ARTICLES