নিজস্ব সংবাদদাতা,দিনহাটা:
কয়েক মাস বাদেই পঞ্চায়েত নির্বাচন তার আগে দলের গোষ্ঠী কোন্দল মেটাতে এবং প্রচারে জোর দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই লক্ষ্যেই দিনহাটা বিধানসভার বিভিন্ন এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ। দিনহাটা বিধানসভায় মোট গ্রাম পঞ্চায়েত সংখ্যা ১৬ । সবগুলি আসনেই জোড়া ফুল ফুটাতে মরিয়া শাসকদল।
তবে কোচবিহার জেলার দিনহাটা জুড়ে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল এর ঘটনা বারংবার সামনে আসছে। শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করলেও অস্বস্তিতে তৃণমূল শিবির। কদিন আগেই বাসন্তীরহাট এবং ধাপড়াহাটে তৃণমূল কংগ্রেসের ২ গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয়। সেই কোন্দল মেটাতে কোমরে দড়ি পরে নেমেছে নেতৃত্ব। বিভিন্ন জনসভায় মন্ত্রীর মুখে শোনা গেছে কড়া দাবাই, গোষ্ঠী কোন্দল করলে দল থেকে বের করে দেওয়া হবে এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের টিকিট না পেয়ে নির্দলের হয়ে দাড়ালে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে দল এমনি ইঙ্গিত মিলেছে। তাই একদিকে প্রচার পাশাপাশি কোন্দল মেটানো দিনহাটার ক্ষেত্রে এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
যদিও জনসংযোগ উদয়ন গুহর কাছে প্রতিদিনের রুটিন। সারা বছর ধরেই দিনহাটা বিধানসভার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বেড়ান। তবে পঞ্চায়েত ভোট আসতেই এবার গ্রামে গ্রামে জনসংযোগ কর্মসূচি নিলেন তিনি। শনিবার চৌধুরীহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের খাটামারী, চান্দেরকুটি, কন্ট্রোলের হাট বাজার, জায়গির বালাবাড়ি এলাকায় গ্রামে চলো কর্মসূচি এবং জনসংযোগ যাত্রা হয়। উদয়ন গুহ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন দিনহাটা ২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি দীপক কুমার ভট্টাচার্য, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বীরেন্দ্র বর্মন, চৌধুরীহাট অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বাবলু বর্মন।
২০১৮ এর পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে স্বচ্ছ ভাব মূর্তিতে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে বলে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জনসভায় জানিয়ে দিয়েছেন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। ১৮’র সেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে জবরদখলের পর কোচবিহারে লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের। ২০২৪ এর ফাইনালের আগে ২৩ এর সেমিফাইনাল উত্তীর্ণ হতে দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি প্রয়োজন। সাধারণ মানুষের কাছে সেই বার্তাই তুলে ধরছেন তিনি। নির্বিঘ্নে যাতে সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারেন সেই আশ্বাস দিচ্ছেন মন্ত্রী।