আলিপুরদুয়ারে লোকসভা ভোটে জোর টক্কর, মনোজ বনাম প্রকাশ! কে এগিয়ে?
নিজস্ব প্রতিনিধি:
আলিপুরদুয়ার লোকসভা নির্বাচনকে যেমন পাখির চোখ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি তেমনি এই আসনটি ছিনিয়ে নিতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। গত লোকসভায় প্রায় আড়াই লক্ষের কাছাকাছি ভোটে এ আসনে বিজেপি জয়লাভ করলেও প্রার্থীবদল করা হয়েছে এবার। সাংসদ তথা সংখ্যালঘু দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জন বাড়লা কে টিকিট দেয়নি দল। এরপরেই দলের অভ্যন্তরে কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসে। মাদারিহাট এর বিধায়ক মনোজ টিজ্ঞা কে প্রার্থী করতেই বিদ্রোহ ঘোষণা করেন জন। প্রকাশ্য দ্বন্দ্বে অস্বস্তিতে পড়ে যায় বিজেপি শিবির। কেন এত বিপুল ভোটে জয়ী হবার পরেও জন বারলা কে টিকিট দিল না দল? সেটাই প্রশ্ন
তবে রাজনৈতিক মহলের অনুমান সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পরে সেভাবে জনসংযোগ করতে দেখা যায়নি জন বারলাকে। মন্ত্রী হবার পরেও বিভিন্ন ব্লকে ব্লকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ করতেন না তিনি। আদিবাসী ভোটব্যাংক নিজেদের কবজায় রাখতে বিজেপি বিধায়ক তথা জেলা সভাপতি মনোজ টিগ্গা কেই প্রার্থী করা হয়েছে। কেননা আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রে আদিবাসী ভোট ব্যাংক একটা বড় ফ্যাক্টর।
অন্যদিকে হারানো জমি ফিরে পেতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। কে প্রার্থী হবেন সে নিয়ে নানান জল্পনা থাকলেও অবশেষে তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশ চিক বরাইকের উপরে আস্তা রেখেছে দল। চা বাগান থেকে উঠে আসা স্বচ্ছ ভাব মূর্তির নেতা হিসেবে পরিচিত প্রকাশ। বুথ স্তর থেকে রাজনীতি করে জেলা রাজনীতিতে উঠে আসা ব্যক্তিত্ব। আদিবাসী সমাজের অপরিচিত মুখ মনোজকে টক্কর দিতে তৈরি আরেক পরিচিত মুখ প্রকাশ। আলিপুরদুয়ারে এবার লড়াই সেয়ানে হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। একজন বাঘা তেতুল তো একজন বুনো মোষ।
যদিও বিজেপির দাবি এখানে কোন কিছুই ফ্যাক্টর হবে না। ফ্যাক্টর শুধু মোদি। মানুষ কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়ন দেখে ভোট দেবে বলে দাবি বিজেপির। অন্যদিকে তৃণমূলের দাবি মানুষ কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে এবার আঙ্গুল তুলবে।