গোসাইরহাট সার্বজনীন দুর্গোৎসব, কোচবিহারের গ্রামের পুজো গুলির মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই পুজো। প্রতিবছর কিছু-না-কিছু নতুন চমক থাকে, চমক মণ্ডপসজ্জা থেকে শুরু করে আলোকসজ্জা এবং সার্বিক সুরক্ষা এবং সচেতনতায়। বিগত বছরে করণা আবহের কারণে পুজো কিছুটা শিথিল হলেও এবার কিন্তু ঝাঁ-চকচকে। কর্মকর্তা জানাচ্ছেন, চলতি বছর তাদের বাজেট সাত লক্ষ টাকার কাছাকাছি। শুধু পূজা মন্ডপ সাজ্জার কারনে নয়, সচেতনতা এবং সামাজিক দায়িত্ববোধের জায়গায় দাঁড়িয়ে চলতি বছর তাদের এই খরচ হতে চলেছে। কোটা গ্রামের মানুষ এক জায়গায় খাওয়া-দাওয়া করেন পুজোর সময়, দিনমজুর এবং পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারদের হাতে তারা তুলে দেবে নতুন বস্ত্র। গ্রামের কোন মানুষ খুজে মন খারাপ করে থাকবে না এটাই তাদের একমাত্র লক্ষ্য। কর্মকর্তাদের মধ্যে দীপ পাল ও পুজো কমিটির সম্পাদক সৌভিক সাহা জানাচ্ছেন, এই বছর তাদের পুজোর থিম,”মায়ের হাতে সুরক্ষিত বিশ্ব..”। তাদের কথায়, এই বছর গোটা বিশ্বকে সুরক্ষিত এবং শান্তি প্রদানের উদ্দেশ্যে তাদের মাতৃ আরাধনা। শুধু চন্দননগর থেকে আলোকসজ্জা এসেছে গ্রামে।
কুচবিহারের পালপাড়ার প্রখ্যাত মৃৎশিল্পী রমেশ পাল তৈরি করছেন তাদের প্রতিমা। দিনরাত চলছে কাজ। বাহারী রঙে সেজে উঠেছে মন্ডপ। পুজোর কয়েকটা দিন সমস্ত কোচবিহার বাস কে আমন্ত্রণ জানিয়েছে গোসাইরহাট সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি।