ময়নাগুড়ি, ১৪ সেপ্টেম্বর : বিশ্বকর্মা পুজোর আর মাত্র তিন দিন। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর হবে বিশ্বকর্মা পূজা। কিন্তূ পুজো আসলেও সেরকম ভাবে বায়না না মেলায় চিন্তায় পড়েছেন ময়নাগুড়ির প্রবীণ মৃৎ শিল্পী। পেটের দায়ে টাকা ঋণ করে ঝুঁকি নিয়ে বিপুল প্রতিমা গড়েছেন তিনি। বিক্রি না হলে কিভাবে ঋণ পরিশোধ করবেন তা নিয়েই চিন্তিত তিনি। ময়নাগুড়ির প্রথম মৃৎ শিল্পী সুধীর পাল। বয়সের ভারে ভারাক্রান্ত হলেও তিনি এখনও প্রতিমা তৈরির কাজ করে চলেছেন। পুজোর মরশুম শুরু হলেও সেভাবে বায়না না মেলায় চিন্তিত তিনি। আর কয়েকদিন বাদেই বিশ্বকর্মা পুজো। টাকা ঋণ করে ঝুঁকি নিয়ে ছোট বড় মিলে প্রায় শতাধিক বিশ্বকর্মা প্রতিমা তৈরি করেছেন তিনি। সময় মতো প্রতিমা বিক্রি না হলে কিভাবে ঋণ পরিশোধ করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি। একদিকে করোনার গ্রাসে লকডাউন। এরফলে অনেক জিনিসের দাম বেড়েছে। অন্যদিকে পুজো পার্বনের জৌলুস কমেছে করোনার কারণে। ফলে প্রতিমা তৈরি করাটা দায় থেকেছে তাদের।
সুধীর বাবু বলেন, " ময়নাগুড়ির প্রথম মৃৎ শিল্পী ছিলাম আমি। আর এখন বিভিন্ন জায়গায় অনেক শিল্পী কাজ করছেন। ফলে অনেকটা চাহিদা কমেছে আমার এখানে। " তিনি আরও বলেন, " এখনো সেভাবে বায়না মেলেনি। টাকা ঋণ করে শতাধিক প্রতিমা তৈরি করেছি। এগুলো বিক্রি না হলে সমস্যায় পড়তে হবে। এদিকে এখানে যারা কাজ করেন তাদের পারিশ্রমিক দিতে হয়। এবছর টাকা ঋণ করে ঝুঁকি নিয়েই প্রতিমা তৈরি করছি। কারণ আমার এটাই পেশা, এটার উপরেই আমার সংসার চলে।"