নিজস্ব সংবাদদাতা কোচবিহার ২৬ জুন :
কোচবিহার জেলা জুড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এই জেলার শাসককে স্মারকলিপি প্রদান করলেন জেলার বিজেপি নেতৃত্ব। উপস্থিত ছিলেন কোচবিহারের জেলার বিজেপির সভা নেত্রী তথা তুফানগঞ্জ বিধানসভার বিধায়ক মালতি রাভা রায়, নাটাবাড়ি বিধানসভার বিধায়ক মিহির গোস্বামী, মাথাভাঙ্গা বিধানসভার বিধায়ক সুশীল বর্মন, কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে, জেলার বিজেপির পর্যবেক্ষক অভিজিৎ বর্মন সহ একাধিক বিজেপি নেতৃত্ব। এই প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভানেত্রী মালতি রাভা রায় বলেন – ২৬ শে জুন গভীর রাতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ইমার্জেন্সি জারি করেছিলেন। বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী একই অবস্থা সৃষ্টি করতে চাইছেন রাজ্যে।
সে কারণেই আজকের দিনটিকে কালা দিবস হিসাবে পালনের পাশাপাশি কোচবিহার জেলা জুড়ে চলা সন্ত্রাসের প্রতিবাদে কোচবিহার জেলা শাসককে অফিসের সামনে বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান করা হলো। পাশাপাশি তিনি আরো জানান যে অবিলম্বে জেলাজুড়ে সন্ত্রাস লুটপাট বন্ধ করতে হবে এবং যেসব ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মীরা নির্বাচনের পরবর্তীতে বাড়িঘর ছাড়া রয়েছে তাদেরকে ঘরে ফেরাতে হবে। অন্যথায় পরবর্তীতে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে কোচবিহার জেলা বিজেপি। শুক্রবার কোচবিহার জেলা বিজিবি সদর কার্যালয় থেকে একটি মিছিল সারা শহর অতিক্রম করে জেলা শাসক দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখান।
অনান্য খবর- দিনহাটায় শিক্ষক সিদ্ধেশ্বর সাহার উদ্যোগে বুক ব্যাংক এর শুভ উদ্বোধনে সাংসদ নিশীথ
কোচবিহার জেলা শাসককে স্মারকলিপি প্রদান জেলা বিজেপি নেতৃত্বের
একদিকে যখন জেলায় রয়েছে মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দল ঠিক সেই সময় বিজেপির এই কর্মসূচিকে জেলা প্রশাসনের উপর চাপ সৃষ্টি করার লক্ষ্যেই বলে মনে করছে তৃণমূলের একাংশ। এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল আহমেদ বলেন – করোনা সংক্রমণে কারণে রাজ্য ও কেন্দ্রের সরকারের বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। করোনা সংক্রমণ রুখতে বারং বার সরকারের পক্ষ থেকে জামায়াত নিষিদ্ধ করা রয়েছে ঠিক সেই পরিস্থিতিতে বিজেপি নেতৃত্বরা জেলাশাসকের দপ্তরে জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। কিভাবে একটি রাজনৈতিক দল রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের বিধি-নিষেধকে উপেক্ষা করে এধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
অনান্য খবর- মোদির নতুন মন্ত্রিসভায় কারা কি দায়িত্ব পেল, দেখুন
তিনি বলেন মানবাধিকার কমিশন বেছে-বেছে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বাড়ি যাচ্ছে। বিধানসভা নির্বাচনের পর জেলার ৭ টি বিধানসভায় জয়ী হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। প্রচুর তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য থেকে শুরু করে কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন অথচ সেই সমস্ত বাড়িতে পৌঁছচ্ছে না মানবাধিকার কমিশন অপরপক্ষে জেলায় যখন মানবাধিকার কমিশন রয়েছেন ঠিক সেইসময় করোনা বিধিকে উপেক্ষা করে বিক্ষোভ দেখানো আইনবিরুদ্ধ বলেই তিনি মন্তব্য করেন। যদিও তার এই মন্তব্যের কোন পাল্টা মন্তব্য করতে চাননি বিজেপি নেতৃত্ব।