বাংলার বাইরে এই প্রথম কোনও রাজ্যে তৃণমূলের ক্ষমতা দখলের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সেটাকে কাজে লাগাতে কোমর বেঁধে নেমে পড়লেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তুরার সভা থেকে মমত বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দিলেন, মেঘালয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে তৃণমূলই একমাত্র বিকল্প।
তুরার সভায় তৃণমূল নেত্রী বললেন, “তৃণমূল (TMC) ছাড়া কোনও বিকল্প নেই। আমরা জানি লড়াইটা কীভাবে করতে হয়। কংগ্রেস আমাকে নিরাপত্তা দেয়নি। ভাবতে পারবেন না, আমাকে কতটা অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে। আমি জীবনে কখনও দুর্নীতি করিনি। লড়াই থেকে সরে আসেনি।” নেত্রীর বার্তা, “তৃণমূলই একমাত্র দল যারা সুশাসন দিতে পারে। তৃণমূল ক্ষমতায় এলেই একমাত্র কৃষক, বেকার, যুবকদের সমস্যা মিটবে।”
মমতার (Mamata Banerjee) অভিযোগ, বিজেপি আসলে দু’মুখো, ভোটের আগে একরকম বলে, ভোটের পরে আরেকরকম করে। কেন্দ্র কীভাবে তৃণমূল শাসিত বাংলার সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করে সেটাও মনে করিয়ে দেন মমতা। একই সঙ্গে বাংলায় সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে কীভাবে তৃণমূল সরকার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, মেঘালয়বাসীর কাছে সেই ফিরিস্তিও তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা মেঘালয়বাসীর সামনে তুলে ধরেন, কীভাবে সাড়ে ৯ কোটি মানুষ বিনামূল্যে রেশন পাচ্ছেন। কীভাবে বাংলার সবাইকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, “আপনারাও তো মাঝে মাঝে কলকাতায় যান। দিল্লি-অসমে গেলে চিকিৎসায় কত খরচ। বাংলায় গেলে চিকিৎসা একেবারে বিনামূল্যে।”
এই মুহূর্তে মেঘালয় সরকারের বড় শরিক কনরাড সাংমার এনপিপি (NPP)। মাত্র ২ আসন নিয়ে সেই সরকারে শামিল বিজেপিও। অথচ, সরকারি সিদ্ধান্তে অনেক সময়ই কেন্দ্র তথা অসমের চাপে মাথা নুইয়ে ফেলতে হয় কনরাডকে। তুরায় দাঁড়িয়ে সেই অভিযোগই প্রতিধ্বনিত হল মমতার মুখে। তৃণমূল নেত্রী বললেন,”মেঘালয়ে দিল্লি এবং অসমের প্রক্সি সরকার চলছে। বিজেপির প্রক্সি সরকার চলছে। কেন গুয়াহাটি থেকে মেঘালয়কে শাসন করা হবে? আমাকে বলতে পারেন? ” বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, তৃণমূল ক্ষমতায় এলে এখানে শুধু মেঘালয়ের মানুষ শাসন করবে। মেঘালয়ের জন্য মেঘালয়ের মানুষের দ্বারা নির্বাচিত সরকার হবে। মেঘালয়ের ভবিষ্যতের জন্য কারও কাছে মাথা নত করতে হবে না আপনাদের।” মেঘালয়ের মানুষের আবেগ ছুঁয়ে যেতে নিজের ভাষণ মমতা শেষ করেন জয় মেঘালয় ধ্বনি দিয়ে।