নিজস্ব সংবাদদাতাঃ
সরকারি নির্দেশিকা অনুসারে শুক্রবার থেকে বাস চলাচল শুরু হয়েছে কোচবিহারে । কিন্তু এখানেও দেখা গেল দুই ভিন্ন চিত্র। সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে বেসরকারি যাত্রী পরিবহন বাস পরিষেবা। ঠিক তার বিপরীতে সরকারি পরিবহন উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা র বাসে উপচে পড়া ভিড়। সরকারি নির্দেশিকা অমান্যের অভিযোগ উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা বিরুদ্ধে। কিন্তু কেন ? বেসরকারি যাত্রী পরিবহন সংস্থার পক্ষে মানব ঘোষ বলছেন, সরকারি নির্দেশিকা দেওয়া রয়েছে অর্থাৎ 50% যাত্রী নিয়ে বাস চলবে তাতে কোনভাবেই লাভ থাকবে না। বর্তমানে পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে এমনিতেই বাস ভাড়া বৃদ্ধির দাবি উঠেছে, সেখানে 50% চার্জ নিয়ে বাস চলাচল করলে কোন ভাবেই মুনাফা হওয়া সম্ভব নয়। মুনাফার লোভে সরকারি নির্দেশিকা অমান্য হলে সেটাও ভালো হবে না। তাই বাস মালিক এবং কর্মচারীদের যৌথ অনুমোদনে বন্ধ রয়েছে বেসরকারি বাস পরিবহন।
অনান্য খবর- তৃনমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয় উদ্বোধনে চাঁচলের বিধায়ক নিহার রঞ্জন ঘোষ
ঠিক তার বিপরীত এই দেখা গেল ব্যাপক ভিড় উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা র বাস গুলিতে। কোচবিহার ডিভিশনের কন্টাকটার অতুল চন্দ্র দাস বলছেন, আমরা কোনভাবেই যাত্রী সংখ্যার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিনা। বারং বার বলা সত্ত্বেও যাত্রীরা কথা শুনছে না। আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে যে বিষয়টা। যদিওবা তারাও নির্দেশ দিয়েছেন 50% যাত্রী নিয়ে বাস চলাচল করবে। কিন্তু বেসরকারি পরিবহন বন্ধ থাকার কারণে বাসে যাত্রী সংখ্যা হয়ে যাচ্ছে অনেক বেশি। তাই নিয়ন্ত্রণ করা মুশকিল হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে যাত্রীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে যাচ্ছে কন্টাকটার। বাসের একজন কন্ট্রাক্টার কেউ দেখা গেল যাত্রী কমানোর জন্য অনেক কাকুতি-মিনতি করছেন। কিন্তু লাভ হচ্ছে কই।
অনান্য খবর- আলিপুরদুয়ার পথের সাথীর ১১ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন, শুভ সূচনায় বিধায়ক
সরকারি নির্দেশিকা অমান্য করে সরকারি বাসে ব্যাপক ভিড় কোচবিহারে
দীর্ঘদিন বাস পরিষেবা চালু হওয়ার কারণেই এই বিপত্তি বলে মনে করছেন সাধারণ যাত্রীরা। যাত্রী রাজলক্ষ্মী ঘোষ বলেন, বাস পরিষেবা চালু হয়েছে খুবই ভালো লাগছে। এর ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক পরিকাঠামো উন্নয়ন হবে। কিন্তু যাত্রীর ভিড় কিছুটা চিন্তার কারণ বাড়াচ্ছে। ভাইরাস সংক্রমণ এখনও শেষ হয়ে যায়নি, আগামীতে করোনার তৃতীয় ঢেঁউ আসতে চলেছে। সেদিকে তাকিয়ে কিছুটা নিয়মকানুন পালন করা একান্তই বাধ্যতামূলক।