Saturday, April 27, 2024
Homeআলিপুরদুয়ারশামুকতলা রোডে কমিউনিটি টয়লেট তৈরি করতে গিয়ে হোঁচট খেলো তৃণমূল নেতৃত্ব

শামুকতলা রোডে কমিউনিটি টয়লেট তৈরি করতে গিয়ে হোঁচট খেলো তৃণমূল নেতৃত্ব

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমারগ্রাম, ২৬ মার্চঃ কমিউনিটি টয়লেট তৈরি করতে গিয়ে হোঁচট খেলো তৃণমূল নেতৃত্ব।‌ আলিপুরদুয়ার-২ নম্বর ব্লকের শামুকতলা রোড বাজার এলাকায় জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা ব্যয়ে কমিউনিটি টয়লেট তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কমিউনিটি টয়লেটটি তৈরির জন্য স্থানীয় বাজার কমিটি যে জমিকে বেছে নিয়েছিল, তার কিছুটা অংশ রেলের। আর এতেই সমস্যার শুরু। বিষয়টি রেলের আধিকারিকদের নজরে আসার পরই তাঁরা এলাকায় আরপিএফ পাঠিয়ে দেন। শামুকতলা রোড পুলিশ ফাঁড়িতে স্থানীয় বাজার কমিটির সঙ্গে আলোচনায় বসেন আরপিএফ-এর আধিকারিকরা। আলোচনায় রেলের জায়গা থেকে তিন দিনের মধ্যে কমিউনিটি টয়লেট ভেঙে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। শামুকতলা রোড বাজার সংলগ্ন রেল দপ্তরের পাকা রাস্তার পাশেই এই কমিউনিটি টয়লেট তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল বেশ কয়েক দিন আগেই।‌ জানা গিয়েছে, বাজার কমিটির তরফে ঠিক করে দেওয়া জায়গায় টয়লেটটি তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচও হয়ে যায়। এরই মধ্যে সেটি ভেঙে ফেলতে হচ্ছে। পাশাপাশি নতুন করে জায়গা খোঁজার কাজ চলছে। জানা গিয়েছে, শামুকতলা রোড বাজার কমিটির সম্পাদক এলাকার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। ওই কমিটির সভাপতিও এলাকার তৃণমূল নেতা। কমিটিতে রয়েছেন তৃণমূলের অনেকেই। ফলে কমিউনিটি টয়লেট তৈরি করতে গিয়ে হোঁচট খেলেন তৃণমূল নেতৃত্বরা, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহল। তবে এখন দেখার, কমিউনিটি টয়লেটটি কোথায় তৈরি করা হয়। এই বিষয়ে শামুতলা রোড বাজার কমিটির সভাপতি চপলকুমার দে বলেন, ‘জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে আমরা একটি টয়লেট পেয়েছিলাম। বাজারের ভেতরে জায়গা ছোট। তাই বাজারের পাশে মাছহাটির ওইদিকে আমরা একটা জায়গা খুঁজে নেই। পাশেই রেলের রাস্তা রয়েছে। যেখানে টয়লেটটি তৈরি করা হচ্ছিল সেই জায়গার কিছুটা রেলের রাস্তা ছুঁয়েছে। বাকি জায়গা বাজারেরই অংশ। টয়লেটের কাজ কিছুটা হওয়ার পর কে বা কারা বিষয়টি রেলের আধিকারিকদের কাছে হোয়াটঅ্যাপ করে ছবি পাঠিয়ে দেয়। রেল কর্তৃপক্ষ আরপিএফ পাঠায়। আরপিএফ আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসে জানিয়ে দেয়, ওই স্থানে টয়লেটটি করা যাবে না। আমরা ৩ দিন সময় চাই। এর মধ্যে আমরা সেটি ভেঙে দেব। কোথায় টয়লেটটি তৈরি করা যায়, তার জন্য আমরা জায়গা দেখছি। বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসা হবে। আমরা ভেবেছিলাম, রেলের জায়গা পড়েই থাকে। কিন্তু কিছু মানুষ উন্নয়নটা চাইল না।’

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

More News

Recent Comments