কোচবিহারঃ মাধ্যমিকে রাজ্যে সম্ভাব্য প্রথমদের মধ্যে কোচবিহারের মনিন্দ্রনাথ হাইস্কুলের ছাত্র দেবজিৎ পাইন। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৭। কোচবিহার ২ নম্বর ব্লকের রাজারহাট এলাকার বাসিন্দা দেবজিৎ। প্রথম থেকেই স্কুলে মেধাবী ছাত্র হিসেবে পরিচিত। স্কুল ও প্রাইভেট টিউটরদের প্রত্যেকেই আশা করেছিলেন দেবজিৎ এবার মাধ্যমিকে মেধা তালিকায় জায়গা করে নেবে। এবছর করোনা মহামারির জন্য মেধা তালিকা প্রকাশ না করা হলেও দেবজিৎ যে প্রত্যাশা মতই ফল করেছে, সেটা কিন্তু সকলেই এক সুরে বলে চলেছেন। রাজ্যে মাধ্যমিকে সর্বোচ্চ
তবে দেবজিতের প্রত্যাশা যেন পূরণ হয় নি। তাঁর কথায়, “পরীক্ষা দিলে হয়ত এর থেকে কম নম্বর পেতাম না। কিন্তু তবুও পরীক্ষা দিয়ে যদি মেধা তালিকায় স্থান করে নিতে পারতাম। তাহলে আরও অনেক বেশী খুশি হতাম।” দিনে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা পড়ত দেবজিত। উচ্চ মাধ্যমিকে সায়েন্স নিয়ে ভর্তি হতে চলছে। ভবিষ্যতে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখে সে। ক্রিকেট ও ফুটবল খেলার প্রতি ঝোঁক থাকলেও বর্তমানে করোনার মহামারির জন্য আর মাঠে যাওয়া হয়ে ওঠে না বলেই জানিয়েছে দেবজিত। দেবজিতের বাবা দীপক কুমার পাইন ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী। টানাটানির সংসার। তারমধ্যেও পরিবারের সকলের সহযোগিতা নিয়ে ছেলের লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ছেলের এই রেজাল্টে তিনি যার পরনাই খুশি।
Read More –ভ্যাকসিন নিলেই আপনি বাহুবলী হয়ে যাবেন,বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী
এদিন স্কুল গুলোতে রেজাল্ট নেওয়ার জন্য অভিভাবক অভিভাবিকাদের ভিড় ছিল দেখার মত। কোন কোন স্কুলে ছাত্রছাত্রীরাও হাজির হয়েছিলেন। সুতাপা ধর তাঁর ছেলের রেজাল্ট নিতে এসে বলেন, “নবম শ্রেণীর পরীক্ষার উপড়ে ভিত্তি করে রেজাল্ট দেওয়া হয়েছে। দশম শ্রেণীতে ওঠার পর সব বিষয়ে টিউটর দেওয়া হয়েছিল। অনেক বেশী সময় নিয়ে পড়াশুনা করত। তাই যদি মাধ্যমিকের পরীক্ষা হত, তাহলে আরও খুশি হতাম।”
রাজ্যে মাধ্যমিকে সর্বোচ্চ ৬৯৭ নম্বর পাওয়া মোট ৭৯ জনের মধ্যে কোচবিহারের দেবজিৎ পাইন
Read More – ‘জীব সেবাই শিব সেবা’ শিশুদের দুধ,বিস্কুট, হরলিক্স দিল ব্লাড ডোনার অর্গানাইজেশন দিনহাটা শাখা
মনিন্দ্রনাথ হাইস্কুলের দেবজিৎ পাইন ছাড়াও একই নম্বর (৬৯৭) পেয়ে সম্ভাব্য প্রথমদের তালিকায় রয়েছে কোচবিহারের শ্রী রামকৃষ্ণ হাইস্কুলের মিন্টু দেবনাথ এবং দিনহাটা গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী সৃষ্টি বর্মণ। এছাড়াও জেলা থেকে সম্ভাব্য বেশ কয়েকজন দ্বিতীয়, তৃতীয় চতুর্থদের মধ্যে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।