Friday, April 26, 2024
Homeরাজনীতিভবানীপুর বিধায়ক পদে ইস্তফা দিচ্ছেন শোভনদেব, উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন মমতা

ভবানীপুর বিধায়ক পদে ইস্তফা দিচ্ছেন শোভনদেব, উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন মমতা

ভবানীপুর বিধানসভার বিধায়ক পদ ছাড়তে চলেছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর আজই পদত্যাগ করতে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। ইস্তফা দিতে কিছুক্ষণের মধ্যেই বিধানসভায় যাবেন তিনি। ভবানীপুর বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে লড়াই করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনই খবর পাওয়া যাচ্ছে তৃণমূল সূত্রে। ভবানীপুর বিধায়ক

পরের খবর- Published on: Mar 8, 2021 :-  সঠিক মর্যাদা না পাওয়ার অভিযোগে তৃণমূল ৭দিনের সময়সীমা বেঁধে দিল কোচবিহার জেলার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়

দেবাশীষ বিশ্বাস, কোচবিহার: “2011 সাল থেকে আমরা তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করে এসেছি, 2021 এ এসে সঠিক মর্যাদা পেলাম না। আগামী 14 তারিখ সাধারণ সভা করে আমরা কোন পথে চলব, তা ঠিক করব।” – 2021 বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পরেই কুচবিহার নতুন মসজিদ সভা কক্ষে নিজেদের মধ্যে 1 বৈঠক করে এমন কথাই জানালেন কোচবিহার জেলার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। তাদের প্রধান দাবি, এতদিন যে দলের সঙ্গে তারা কাজ করে এসেছেন সেই দল 2021 এ তাদের সঙ্গে বঞ্চনা করেছে। তাদের সঠিক মর্যাদা দাওনি। কোচবিহারে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে দলের সবরকম দায়িত্ব সামলে আসা সংখ্যালঘু নেতা আবদুল জলিল আহমেদ এর প্রার্থী পথের দাবী ছিল কোচবিহারের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। মূলত সেই দাবি পূরণ করেননি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Read More –বাধাপ্রাপ্ত রবীন্দ্রনাথ, বিতর্কিত মন্তব্যে বাড়িতে ঢুকতে দিলেন না পার্থপ্রতিম রায়ের বাবা

তাই কার্যত বেসুরো এবং ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন তারা। বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সরাসরি মীর মহিউদ্দিন মন্তব্য করে বলেন, নির্বাচনের সময় আমরাই লাঠি ধরে নির্বাচন করি, আমরাই নিজেদের জীবনের বাজি রাখে নির্বাচন করি, আমরাই সন্তান-সন্ততিদের কথা না ভেবে রাস্তায় নেমে কাজ করি,আইনি জটিলতার মধ্যে সবথেকে বেশি মামলা আমাদের গাড়ি পড়ে। তারপরেও আজ আমরা বঞ্চিত।কোচবিহারের নয়টি বিধানসভা আসনের চিত্র একটি প্রার্থীপদ অবশ্যই উচিত ছিল। সেই দিকে কর্ণপাত করেননি শাসক দল। বৈঠকের একাধিক নেতৃত্বের মাধ্যমে এমন মন্তব্যও উঠে আসে, আমরা যদি ভোট না দেই তাহলে জিতবে না তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা।আমরা যেমন তাদের জেতাতে পারি আমরা হারাতে পারি। এই কথাটা প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগে অন্ততপক্ষে ভেবে দেখা উচিত ছিল।

সঠিক মর্যাদা না পাওয়ার অভিযোগে তৃণমূল ৭দিনের সময়সীমা বেঁধে দিল কোচবিহার জেলার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়

এইসব এরপরেও সাংবাদিকদের মুখোমুখি আব্দুল জলিল আহমেদ বলেন, কোচবিহার জেলায় 32 শতাংশের বেশি ভোট হয়েছে সংখ্যালঘু। 27 শতাংশ ভোট রয়েছে রাজবংশী সম্প্রদায়ের। সুতরাং সংখ্যালঘু ভোট কোচবিহার জেলা নির্বাচনের ক্ষেত্রে একটি বড় ফ্যাক্টর। বিগত বছরগুলোতে আমাদের সম্পূর্ণ সমর্থন তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে ছিল।কিন্তু চলতি বছর এই অবমাননা এবং বঞ্চনা মেনে নিতে অস্বীকার করেছে কোচবিহার জেলার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। তাই আগামী 14 তারিখ বৃহৎ আকারে আমরা আলোচনায় বসতে চলেছি। এরমধ্যে তৃণমূল সুপ্রিমো এবং কোচবিহারের পর্যবেক্ষক সুব্রত বক্সীর তরফ থেকে কোন নির্দেশ আসে কিনা সেটাও দেখব। আমরা 7 দিনে সময়সীমা চেয়ে নিচ্ছি আমাদের নিজেদের অবস্থান মানুষের সামনে প্রকাশ করার জন্য। কারণ জেলার সংখ্যালঘু ভাই-বোনেরা আমাদের সিদ্ধান্তের প্রতি চোখ দিয়ে বসে আছে।

Read More –মাধ্যমিকে ৬৯৭, পরীক্ষায় না বসতে পেরে আক্ষেপ আলিপুরদুয়ারের অর্ঘ দ্বীপ দেবনাথের

নির্বাচনের আগে থেকেই এক এক করে সংখ্যালঘু নেতৃত্বদের সরানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। শেষমেষ কোচবিহারে একটি ও সংখ্যালঘু প্রার্থী না থাকায় অভিযোগে সঠিক বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে এই কথা অনস্বীকার্য জেলায় সংখ্যালঘু ভোট ব্যাংক এতদিন তৃণমূলের হয়ে কাজ করেছিল,কিছুটা হলেও চিন্তা বাড়াচ্ছে শাসক শিবিরে। তবে জলিল বাবু পরিষ্কারভাবে বলেন, আমরা দল পরিবর্তন করবো না, দলে থেকেই লড়াই চালিয়ে যাব নিজেদের মর্যাদার পুনরুদ্ধারের জন্য।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

More News

Recent Comments