নিজস্ব প্রতিনিধি:
ঘটনার সূত্রপাত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠকে করা একটি মন্তব্য নিয়ে। বুধবার তিনি এক পুলিশ আধিকারিকের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘এখানে একটা সমস্যা রয়েছে। BSF গ্রামে ঢুকে যায়। অনেক অভিযোগ আসে অত্যাচারের।’ তিনি আরও বলেন, ‘মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তর দিনাজপুর অনেক BSF পুলিশকে না জানিয়ে প্রবেশ করে। স্থানীয় পুলিশকে না জানিয়েই প্রবেশ করে। আমাদের IC রা ভাবেন নানা ছেড়ে দিই।’
এই মন্তব্যের পালটা একটি চিঠি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লিখেছেন রাজ্যপাল। তিনি লিখেছেন, ‘৭ ডিসেম্বর গঙ্গারামপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা মন্তব্য নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তিনি বলেছেন, ‘ পুলিশের অনুমতি নিয়ে ১৫ কিলোমিটার এলাকায় প্রবেশ করতে পারে BSF, এই মন্তব্য আইনের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।’ এখানেই শেষ নয়, মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য অত্যন্ত ভুল বার্তা দিচ্ছে এবং জাতীয় নিরাপত্তা ও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ক্ষেত্রে ভয়াবহ হতে পারে বলেও মন্তব্য রাজ্যপালের। এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও লিখেছেন, রাজ্যের মধ্যে বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান বর্ডার রয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে BSF। এদিকে এই প্রসঙ্গে একটি টুইট করে বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, BSF এবং পুলিশের মধ্যে বিভেদ তৈরির চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই যাবতীয় প্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধনখড়ের এই চিঠি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে এদিকে এর আগে BSF প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ বলেছিলেন, ‘সীমান্তবর্তী অঞ্চলের মানুষদের জিজ্ঞাসা করে দেখুন, কী আচরণ করে বিএসএফ ওখানে। ছোট ছোট সন্তানের সামনে বাবাকে কান ধরে ওঠবোস করায়। চেকিং করার নামে ছেলের সামনে মায়ের গোপনাঙ্গে হাত দেয় বিএসএফ। এখানেই শেষ নয়, তিনি বলেন- বিএসএফ দেশপ্রেমিক নয়।’ এই মন্তব্যে তুমুল আলোড়ন তৈরি হয়েছিল। উল্লেখ্য, BSF এর এক্তিয়ার বৃদ্ধি করা নিয়ে ইতিমধ্যেই তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে।