নিউ জলপাইগুড়ি গোহাটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এর স্টপেজ পেল না কোচবিহার। হতাশ কোচবিহারবাসী, নিউ কোচবিহারে স্টপেজ এর দাবিতে সরব তৃণমূল কংগ্রেস। সাংবাদিক বৈঠক করলেন তৃণমূল মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায়
এক্সপ্রেস ট্রেন বন্দে ভারত এর নিউ কোচবিহারের স্টপেজ এর দাবিতে সরব হল তৃণমূল কংগ্রেস। উল্লেখ্য কিছুদিন আগে একটি বিজ্ঞপ্তিতে রেল দপ্তর জানিয়েছিল নিউ কোচবিহারে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের স্টপেজ থাকছে পরবর্তীতে নতুন বিজ্ঞপ্তিতে নিউ কোচবিহার স্টেশন বাদ দিয়ে নিউ আলিপুরদুয়ারের নাম যুক্ত হয়। এরপরেই স্তম্ভিত হয়ে যান সকলে, কেন বঞ্চিত কোচবিহার সেই দাবিতে সরব হলো তৃণমূল। রবিবার নিজ বাসভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্য তৃণমূল মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায়। তার বক্তব্য অনুযায়ী,
“নিউজলপাইগুড়ি- গুয়াহাটি বন্দেভারত রেলের সময় সারণী আর স্টপেজ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি রেলের পক্ষ থেকে প্রকাশিত হয়েছে। কোচবিহারের মানুষ প্রত্যাশা করেছিলাম নিউকোচবিহার স্টেশনে বন্দেভারতের স্টপেজ হবে। আর এই আশা জাগিয়েছিল কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। বিভিন্ন সময় বক্তৃতা করে বলেছিল নিউকোচবিহারে স্টপেজ হবে। কথা ও কাজের মধ্যে যে মিল নেই এটাতে আরেকবার স্পষ্ট হল। শুধুই ভাওতাবাজি আর বাতেলাবাজি। এই ঘটনা থেকে দুটো বিষয় স্পষ্ট হয় কোচবিহারের মন্ত্রী হয়ে তিনি কোনো সওয়াল করতে ব্যর্থ অথবা তার কথার কোনো গুরুত্ব নেই। ঘটনা যাই হোক ভাওতাবাজি ছেড়ে নিউকোচবিহারে আমরা বন্দেভারতের স্টপেজ চাই চাই-ই।” সরাসরি বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করে বলেন, কথায় কথায় উত্তরবঙ্গ -কোচবিহার বঞ্চিত বলে যারা চিৎকার করে এবার তারাও একটু মুখ খুলুন আর এদের ইন্ধনকারী বিজেপির সাংসদ-বিধায়করা এবার একটু কিছু বলুন। কেন কোচবিহার বঞ্চিত হল রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে উত্তর চাই। অবিলম্বে এই সিদ্ধান্তের ওপর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে, পাশাপাশি নিউ কোচবিহার স্টেশনে বন্দে ভারতের স্টপেজ না থাকলে বৃহত্তম আন্দোলনের পথে নামতে বাধ্য হবে তৃণমূল কংগ্রেস।