নিউজ ডেস্ক:
একুশের ভোটের সময় গেরুয়া শিবিরের হয়ে প্রচার ময়দান কাঁপাতে দেখা গিয়েছে মিঠুন চক্রবর্তীকে। প্রচারে একাধিক ছবির সংলাপ ব্যবহার করেছিলেন তিনি। ব্রিগেডে ‘মারব এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে’ বা ‘এক ছোবলে ছবি’-র মতো জনপ্রিয় সংলাপ বলতে শোনা যায় তাঁকে। এর পরেই হিংসায় মদত দেওয়ার অভিযোগে সেই সময় মানিকতলা থানায় মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছিল অভিযোগ। বৃহস্পতিবার এই মামলা খারিজ করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
হাইকোর্ট জানিয়েছে, মিঠুন চক্রবর্তীর এই মন্তব্যের মধ্যে ছিল সাধারণ মানুষকে আকর্ষণ করার চেষ্টা। পাশাপাশি ভোট প্রচারে এই সংলাপ বলার প্রায় তিন মাস পরে FIR করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশন কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। এই ঘটনায় হিংসার বিষয় খুঁজে পায়নি আদালত। এই মামলায় কৌশিক চন্দের একক বেঞ্চ জানিয়েছে, বর্তমানে অনেক অভিনেতা রাজনীতিতে যোগদান করছেন। তাঁরা মনোরঞ্জন করার জন্য সংলাপ বলে থাকেন। এই মন্তব্যের মধ্যে কোনও হিংসার বিষয় খুঁজে পায়নি আদালত।
উল্লেখ্য, রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে ব্রিগেডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে BJP-তে যোগদান করেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী।এই সময় ব্রিগেডে তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে নিজের ছবির জনপ্রিয় সংলাপ যেমন ‘মারব এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে’, ‘জাত গোখরো’-র মতো সংলাপগুলি ব্যবহার করেন। ভোটের পর এই মন্তব্যগুলি নিয়ে আপত্তি তুলে মানিকতলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে তৃণমূল। এই সংলাপের মধ্য দিয়ে হিংসায় মদত দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এবার এই মামলা খারিজ করেছে হাইকোর্ট।
এদিকে আদালতের এই সিদ্ধান্তে কার্যত খুশি BJP নেতারা। এক BJP নেতা বলেন, ‘আসলে পুরো বিষয়টিই নাটক ছিল। মিঠুন চক্রবর্তী তৃণমূল কংগ্রেসে থাকাকালীন এই ডায়ালগ বলেছিলেন। সেই সময় এই ধরনের কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। কিন্তু, যেই তিনি BJP-তে যোগ দিয়ে এই কথা বললেন তাঁর নামে মামলা হল।’ একই সুর শোনা গেল আরেক BJP নেতার কণ্ঠে। তিনি বলেন, ‘আসলে BJP-কে ভয় দেখানোর জন্য এই ধরনের পদক্ষেপ করে তৃণমূল। মানুষ এর জবাব দেবে।’ এদিকে এক তৃণমূল নেতার পালটা কটাক্ষ, ‘মানুষ ভোট বাক্সে জবাব দিয়েছে।’