দেশজুড়ে আছড়ে পড়েছে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ ( Third Wave In India)। ঝড়ের গতিতে বেড়েছে সংক্রমণ। তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, এখনও সংক্রমণের শিখরে ওঠেনি Third Wave। এক সাম্প্রতিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ শিখর ছোঁবে দেশের কোভিড গ্রাফ। ওমিক্রন ভ্যারিয়্যান্টের (Omicron Variant) হাত ধরেই তা হবে বলেও আভাস মিলেছে সেই রিপোর্টে।
মঙ্গলবার SBI-এর তরফে এই সমীক্ষা প্রকাশ করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের ১৫টি জেলায় গত ডিসেম্বরে সংক্রমণের হার সর্বাধিক ছিল। এই সমস্ত জেলাগুলিতে সংক্রমণের হার পৌঁছে গিয়েছিল ৬৭.৯ শতাংশে। যা জানুয়ারি মাসে কমে দাঁড়িয়েছে ৩৭.৪ শতাংশ। তবে বেঙ্গালুরু, পুনের মতো মেট্রোসিটিতে সংক্রমণের হার এখনও অনেকটাই বেশি। ৮০ শতাংশ ভারতীয়ের টিকার প্রথম ডোজ এবং ৬৯ শতাংশের দু’টি ডোজ সম্পন্ন হলেও সংক্রমণের হার এখনও কমেনি বলেই জানা গিয়েছে রিপোর্টে। তবে এই পরিসংখ্যান আমেরিকার তুলনায় কম।
ফেব্রুয়ারির ১ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যেই ভারত তৃতীয় ঢেউয়ের শীর্ষে পৌঁছবে। এর আগে মাদ্রাজ IIT-র গবেষণায় দেখা গিয়েছিল ভারতের R-naught –এর মান চার। গবেষকদের দাবি, এই মান ইঙ্গিত করে দেশে সংক্রমণের হার এই মুহূর্তে যথেষ্ট বেশি।
‘আর-নট’-এর মান ইঙ্গিত করে কোনও ভাইরাসের সংক্রামক ক্ষমতাকে। অর্থাৎ একজন ব্যক্তি ঠিক কত জনকে সংক্রমিত করতে পারেন, তারই নির্দেশক R0। এই ‘আর-নট’-এর মান একের নীচে নেমে গেলে মনে করা হয় মহামারী তার অন্তিম পর্য়ায়ে পৌঁছেছে।আর-নট মূলত তিনটি পরিস্থিতির উপর নির্ভর করতে পারে। এ প্রসঙ্গে মাদ্রাজ IIT-র গণিত বিভাগের অধ্যাপক জয়ন্ত ঝা বলেন, ‘সংক্রমণের সম্ভাবনা, মেলামেশার হার এবং সময় ব্যবধানের উপর নির্ভর করে সংক্রমণ বৃদ্ধি। সে ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে সারা দেশে কোভিড বিধি নিষেধ আরোপ করার ফলে মেলামেশার হার হয়ত কমে যাবে। ফলে ‘আর-নট’-এর মানও খানিকটা নেমে আসবে।’ তাঁর সংযোজন, ‘গত দু’সপ্তাহের তথ্যের ভিত্তিতে প্রাথমিক বিশ্লেষণে এই পর্যবেক্ষণ। কিন্তু, তা সঠিক এমনটা বলা যাবে না। কারণ, সংক্রমণের সংখ্যাটা নির্ভর করছে সামাজিক জমায়েতের উপর। উপযুক্ত নজরদারিতে জমায়েত কম হলে সংক্রমণ অবশ্যই কম ছড়াবে।’
তথ্যসূত্র: এই সময় ডিজিটাল