Friday, April 26, 2024
Homeকোচবিহারটানা বৃষ্টিতে ব্যাপক ভাঙ্গন কবলিত কোচবিহারের ফাঁসির ঘাট এলাকা, ক্ষতিগ্রস্ত বহু পরিবার

টানা বৃষ্টিতে ব্যাপক ভাঙ্গন কবলিত কোচবিহারের ফাঁসির ঘাট এলাকা, ক্ষতিগ্রস্ত বহু পরিবার

কোচবিহারঃ
টানা বৃষ্টিতে জল স্ফীতি কোচবিহার তোর্ষা সহ বিভিন্ন নদীতে। আর গত ২৪ ঘন্টায় কোচবিহার শহর সংলগ্ন ১৬ এবং ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ফাঁসির ঘাট এলাকার প্রায় ৪০০ মিটার নদী ভাঙ্গন কবলিত হয়ে পড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত সংখ্যা হাজারের ওপরে। ইতিমধ্যেই স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেদের বাড়িঘর ভেঙ্গে সুরক্ষিত স্থানে উঠে আসার চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রতি বছর এর মত এই বছর ভাঙ্গনে কোনরকম সহযোগীতা না পাওয়ার অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। যদিও বা কোচবিহার মহকুমাশাসক রকিবুর রহমান ইতিমধ্যেই বেশ কিছু এলাকায় পাঠিয়েছেন তবে তা পর্যাপ্ত নয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।স্থানীয় বাসিন্দা সুনীল শর্মা জানাচ্ছেন, একটানা চার পাঁচ দিন থেকে এমন চলছে। বর্তমানে কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে একবার এলাকা পরিদর্শনে এসেছিলেন তারপর থেকে অভিযোগ তিনি বেপাত্তা। বাসিন্দাদের হাতে কিপারের কুপন থাকলেও সেটা পাওয়া যাচ্ছে না। নদী ভাঙ্গন এতটাই মারাত্মক আকার ধারণ করেছে যে ঘরবাড়িগুলো কি তারা সুরক্ষিত স্থানে পর্যন্ত পৌঁছাতে পারছেন না। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায় ইতিমধ্যে প্রায় ২০০ বাড়ি ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছেন তারা। কোচবিহার সদর মহকুমা শাসক রাকিবুর রহমান জানিয়েছেন, আমরা সম্পূর্ন পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছি। যতটা সম্ভব ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করা হবে।

আরও খবর পড়ুন……

বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষকদের ‘বিজেপি ক্যাডার’ বলে কটাক্ষ করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু

নিউজ ডেস্কঃ
বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষকদের ‘BJP ক্যাডার’ বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বুধবার বাম আমলের তুলনা টেনে মন্ত্রী একটি দীর্ঘ ফেসবুক পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, ‘বাম সরকারের আমলে পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন বিভাগের অধীনে SSK এবং MSK-র সহায়ক, সম্প্রসারকরা নামমাত্র সাম্মানিকের বিনিময়ে কাজ করতেন। কাজের নিশ্চয়তা, আর্থিক নিরাপত্তা এবং অবসরকালীন সুযোগ-সুবিধা কিছুই ছিল না। কিন্তু ২০২০ সালের ২০ ডিসেম্বর থেকে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকার SSK এবং MSK-গুলিকে বিদ্যালয় শিক্ষা বিভাগের অধীনে এনে একটি সুসংবদ্ধ রূপ দিয়েছে। সহায়ক, সহায়িকাদের সাম্মানিক বাড়িয়ে মাসিক ১০ হাজার ৩৪০ টাকা এবং সম্প্রসারক, সম্প্রসারিকাদের সাম্মানিক বাড়িয়ে ১৩ হাজার ৩৯০ টাকা করা হয়েছিল। বছরে ৩ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রত্যেককে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের অধীনে আনা হয়েছে’। মন্ত্রীর সংযোজন, ‘যাঁরা ৬০ বছর বয়সে অবসর নিতে চান, তাঁদের প্রত্যেককে তিন লাখ টাকা করে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে’।

বাকিদেরও ওই পরিষেবা প্রদানের কথা চলছে বলেই জানিয়েছেন ব্রাত্য। ছাড়াও মাতৃত্বকালীন ছুটি, বছরে ১৮ দিন ক্যাজুয়াল লিভ, নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে প্রভিডেন্ট ফান্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেই দাবি করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘এত কিছুর পরেও যাঁরা আন্দোলন করছেন, তারা শিক্ষক শিক্ষিকা নন, BJP ক্যাডার’।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

More News

Recent Comments