টয়লেটে গিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। কিন্তু, সেখানে কোবরার হামলার মুখে তাঁকে পড়তে হবে তা বোধহয় স্বপ্নেও ভাবেননি। কোনও কিছু বোঝার আগেই যৌনাঙ্গে ছোবল বসিয়েছিল সাপটি। যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন তিনি। চিৎকার করে সাহায্য চান। এদিকে বিষাক্ত ছোবলে যৌনাঙ্গের রং তখন নীল হয়ে গিয়েছে। তারপর?
ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। জানা গিয়েছে ৪৭ বছর বয়সী নেদারল্যান্ডের বাসিন্দা দক্ষিণ আফ্রিকায় ঘুরতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁর সঙ্গে কী ঘটতে চলেছে তা বোধহয় তিনি স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি। জানা গিয়েছে, সাপটি টয়লেটে আগে থেকেই ছিল। ওই ব্যক্তির নজর এড়ায় বিষয়টি। এদিকে তিনি টয়লেট ব্যবহার করতেই সাপটি তাঁর যৌনাঙ্গে ছোবল বসায়। জানা গিয়েছে, তাঁর যৌনাঙ্গে পচন ধরেছিল।
ঘটনার পর ওই ব্যক্তি তীব্র যন্ত্রণা নিয়ে টানা তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করেছিলেন। এরপর হেলিকপ্টারে করে ২২০ মাইল দূরে অবস্থিত একটি ট্রমা কেয়ার সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে সাপের কামড়ে ফুলে যায় তাঁর যৌনাঙ্গ। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যেই অংশে সাপ ছোবল বসিয়েছিল, সেই অংশটি নীল হয়ে দিয়েছিল। এরপর তাঁকে সাপের বিষমুক্ত করার জন্য একাধিক ওষুধ দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, তাঁর যৌনাঙ্গে ধীরে ধীরে পচন ধরতে শুরু করে। এরপরেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে শুরু করেন ওই ব্যক্তি। যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন তিনি। শুরু হয় বমিও। একসপ্তাহ পরে তাঁর শারীরিক অবস্থা কিছুটা সুস্থ হয়। বিষক্রিয়া থেকে মুক্ত হন তিনি। কিন্তু, সেই সময়ও যৌনাঙ্গের পচন রোধ হয়নি। এরপরেই তাঁর অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। যেই অংশে পচন ধরেছিল সেখান থেকে নষ্ট হয়ে যাওয়া চামড়া বাদ দেওয়া হয়।
প্রায় ৯ দিন পর তিনি তাঁর বাড়ি নেদারল্যান্ডে ফিরে আসেন। সেখানে ইসালা ক্লিনিক্যাল হাসপাতালে তিনি তাঁর চিকিৎসা করাতে শুরু করেন। ততদিনে তাঁর ক্ষততে আরও ব্যকটিরিয়া সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছিল। সেই সংক্রমণ রুখতে তিনি অ্যান্টিবায়োটিক নেওয়া শুরু করেন। যৌনাঙ্গ ফিরে পেতে আরও চিকিৎসার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে। সংশ্লিষ্ট অংশ থেকে চিকিৎসকরা মৃত কোষগুলি বাদ দেন এবং পরে সেই ক্ষত ঢাকতে যৌনাঙ্গে প্লাস্টিক সার্জারি করা হয়। জানা গিয়েছে, তিনি আপাতত সুস্থ হয়ে গিয়েছেন এবং তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।