শুক্রবার সন্ধ্যায় কোচবিহার জেলার দিনহাটা মহাকুমার সাহেবগঞ্জ থানার স্পেশাল অপারেশন এর মাধ্যমে ১২ জন সমাজ বিরোধীদের গ্রেপ্তার করেছে বলে সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে এদিন অভিযানে নেমে আবুতারা এলাকা থেকে ৭ জন জুয়ারু , বাসন্তীর হাট এলাকা থেকে মদ বিক্রেতা এবং চারজন কে মদ্যপ অবস্থায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
কোচবিহার জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি থানায় নির্দেশ আছে স্পেশাল রেড করার। এটা লাগাতার চলবে। সেই সাথে বেআইনি মদ, জুয়া, যে কোনো অসামাজিক কাজের বিরুদ্ধে পুলিশ এর অভিযান চলবে। সেই মতই দিন বিভিন্ন এলাকায় পুলিশি তল্লাশি। অবৈধ মদ বিক্রি, জুয়াড়ি সহ মদ্যপ অবস্থায় থাকা মোট ১২ জন কে গ্রেফতার করা হয়।
আরও খবর পড়ুন……
হুমকি দিয়ে এবার পৃথক রাষ্ট্রের দাবি জানাল কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন তথা কেএলও
উত্তরবঙ্গ:
পৃথক রাজ্য নয়, এবার পৃথক রাষ্ট্রের দাবি জানাল কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন তথা কেএলও। তাদের দাবি না মানা হলে সশস্ত্র আন্দোলনের পথে হাঁটা হবে বলেই জানিয়েছে উত্তরবঙ্গের কোচ রাজবংশী জনজাতির মানুষদের নিয়ে তৈরি এই বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন।
জীবন সিংয়ের নেতৃত্বাধীন কেএলও সক্রিয় হয়ে উঠেছে সম্প্রতি। সম্প্রতি তাঁদের ভিডিও বার্তা দেওয়া হয় কেএলও-র তরফ থেকে। যদিও সেখানে দেখা যায়নি জীবন সিংহকে। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, জীবন সিংহর লিখিত বিবৃতি পাঠ করছেন পাভেল কোচ নামে এক যুবক। উত্তরবঙ্গের সাতটি জেলা, নেপালের কিছু অংশ, বিহারের কিষানগঞ্জ সংলগ্ন কিছু অংশ, অসমের বেশ কিছু এলাকা, মেঘালয়ের বেশ কিছু এলাকা ও বাংলাদেশের রংপুর এলাকা নিয়ে স্বাধীন কামতাপুর রাষ্ট্র গঠনের দাবি করা হয়েছে কেএলও-র তরফে।
কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশনের আরও দাবি, ইতিহাসে যে কোচবিহার রাজ্যের উল্লেখ ছিল, তার যা সীমা তার যা পরিসর ছিল, তা মেনেই স্বাধীন কামতাপুর রাষ্ট্র তৈরি করা হবে। এমনকি জীবন সিংহের এই বিবৃতিতে ভারতকে তাঁদের সবচেয়ে বড় শত্রু হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের এই দাবি মানা না হলে সশস্ত্র সংগ্রামের আহ্বান জানানো হয়েছে এই ভিডিও বার্তায়। তবে ওই ভিডিওটি আদৌ কেএলও’র কিনা তার সত্যতা খবরিয়া২৪ যাচাই করে নি।
পৃথক হওয়ার দাবি জানিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে সশস্ত্র আন্দোলন করে যাচ্ছে কেএলও। কার্যত তাঁদের দাবির সাথে সুর মিলিয়ে সম্প্রতি বিজেপির বেশ কয়েকজন নেতা উত্তরবঙ্গকে পৃথক করার দাবি জানিয়েছিলেন। এরপরেই রাজ্য রাজনীতিতে ওই দাবি শোরগোল ফেলে দেয়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর বিরোধিতা করে প্রতিক্রিয়া দেন। বাংলাকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে দাবি জানান পার্থ প্রতিম রায় থেকে শুরু করে রাজবংশী সমাজ থেকে উঠে আসা রাজ্যের বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতৃত্ব। এরপরে কেএলও চিফ জীবন সিংহ এদের বিরুদ্ধে ভিডিও বার্তা দিয়ে স্যোসাল মিডিয়ায় ছাড়েন। যা বর্তমানে বহুল চর্চিত। কিন্তু কেএলও পৃথক রাজ্যের দাবির বদলে পৃথক রাষ্ট্র চেয়ে বসায় এবার বিজেপি নেতৃত্ব কিছুটা হলেও রাজনৈতিক ভাবে সমস্যায় পড়তে পারেন বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারনা।