Saturday, April 27, 2024
Homeনিউজ ডেস্করুদ্ধশ্বাস ম্যাচে দিল্লিকে হারিয়ে আইপিএল ফাইনালে কলকাতা নাইট রাইডার্স

রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে দিল্লিকে হারিয়ে আইপিএল ফাইনালে কলকাতা নাইট রাইডার্স

নিউজ ডেস্ক:
মহাষ্টমীর রাতটা যে কলকাতা নাইট রাইডার্সের তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। টসে জয়লাভ থেকে শুরু করে ফাইনালের দরজা খুলে যাওয়া, সবকিছুই যেন একেবারে পিকচার পারফেক্ট হল। আজ দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৩ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালের দরজা খুলে দিল মরগ্যান ব্রিগেড। বিজয়া দশমীর দিল ফাইনাল ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে খেলতে হবে কলকাতাকে। তবে আজ এই জয়ের পিছনে ভেঙ্কটেশ আইয়ারের অর্ধশতরানের ভূমিকা একেবারে অস্বীকার করা যাবে না।

টসে জিতে আজ দিল্লি ক্যাপিটালসকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন মরগ্যান। নির্ধারিত ২০ ওভারে দিল্লি ক্যাপিটালস পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান তুলেছিল। তবে শারজার বুকে আসল খেলাটা খেলে দিয়ে গেলেন কলকাতার বোলিং ডিপার্টমেন্ট। জোড়া উইকেট নেন বরুণ চক্রবর্তী। একটি করে উইকেট নেন লকি ফার্গুসন এবং শিবম মাভি।

এরপর শুরু হয় কলকাতার ব্যাটিং। লক্ষ্যমাত্রা যেহেতু খুব একটা বেশি ছিল না, সেকারণেই চাপ মুক্ত হয়ে শুরু থেকে ব্যাটিং করছিলেন কলকাতার দুই ওপেনার ভেঙ্কটেশ আইয়ার এবং শুভমন গিল। কলকাতার এই দুই ব্যাটসম্য়ানই জয়ের ভিতটা মজবুত করে দেন। ১৩.২ ওভারে গড়ে ওঠে শতরানের পার্টনারশিপ। ১২.২ ওভারে কাগিসো রাবাডা পেলেন প্রথম ব্রেক থ্রু। শিকার ভেঙ্কটেশ আইয়ার। লম্বা শট হাঁকাতে গিয়ে ডিপ স্কোয়ার লেগে স্টিভ স্মিথের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। ৪১ বলে ৫৫ রান করেছেন তিনি। ততক্ষণে কলকাতার জয়ের রাস্তাটাও অনেকটাই মসৃণ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, ১৬.৪ ওভারে আভেশ খানের বলে ঋষভ পান্থের হাতে ক্যাচ দিয়ে শুভমন গিল ফিরতেই গোটা ম্যাচের রং একনিমেষে বদলে যায়। ব্যর্থ হলেন দীনেশ কার্তিক এবং ইয়ন মরগ্যান। দুজনেই রানের খাতা খুলতে পারেননি। পরের নিলামে মরগ্যানকে আদৌ দলে রাখা হবে কি না, তা নিয়ে আজ থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

তবে তখনও বলা যেতে পারে যে এই ম্যাচের রাশ কলকাতার পক্ষেই ছিল। শেষ ওভারে ঋষভ বল তুলে দিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিনের হাতে। এটা পান্থের অন্যতম বড় ফাটকা তা নিয়ে সন্দেহ নেই। কারণ গোটা টুর্নামেন্টে অশ্বিন খুব একটা ভালো বল করেননি। কিন্তু, এই ফাটকাতেই যে ম্যাচ কলকাতার হাত থেকে প্রায় বেরিয়ে গিয়েছিল, সেটার তারিফ করতেই হবে। ১৯.৩ ওভারে LBW হলেন সাকিব আল হাসান। তিনি রানের খাতা খুলতে পারেননি। পরের বলে বড় শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন সুনীল নারাইনও। তিনিও রান করতে পারেননি। ২ বলে তখন দরকার ৬ রান। পাশাপাশি অশ্বিনও হ্যাটট্রিক ডেলিভারির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। পঞ্চম বলে বিশাল ছক্কা হাঁকালেন রাহুল ত্রিপাঠী। আর সেইসঙ্গে কলকাতা শিবির কার্যত আনন্দে নেচে ওঠে। কারণ ততক্ষণে ফাইনালের দরজা যে খুলে গিয়েছে।

আইপিএল ইতিহাসে তৃতীয় দল হিসেবে এলিমিনেটর পর্বে জয়লাভ করে ফাইনালের রাস্তা প্রশস্থ করল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ইতিপূর্বে ২০১৩ সালে চেন্নাই সুপার কিংস এবং ২০১৮ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এই একই কৃতিত্ব কায়েম করেছে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

More News

Recent Comments