কোলের শিশুকে ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে এক গৃহবধূকে চলন্ত ট্রেনে ধর্ষণের অভিযোগ উঠলো দুই ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। শ্রীরাম পুর থেকে আলিপুরদুয়ার জংশন স্টেশনের মধ্যে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে জানা গিয়েছে ।ধর্ষণের অভিযোগে দুই অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই আলিপুরদুয়ার জংশন থেকে গ্রেপ্তার করেছে জি আর পি। মূল অভিযুক্ত একজন হলেও অপরজন ধর্ষণে সহযোগিতা করেছে বলে অভিযোগ।
ডি এস পি অফ জি আর পি তপন কুমার ভট্যাচার্য বলেন , ধর্ষণের অভিযোগে দুই অভিযুক্তকে রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়। রবিবার তাদের আদালতে তোলা হয়েছে।
জি আর পি সূত্রে জানা গিয়েছে, গুহাটি থেকে আলিপুরদুয়ার জংশন গামী সেই ট্রেনে প্রায় রাত দশটা নাগাদ ঘটনা ঘটে। তবে গৌহাটি থেকে দুপুর তিনটার পর রওনা দিয়েছিল সেই ট্রেন । ফকিরা গ্রামে স্টেশনে বেশির ভাগ যাত্রী নেমে পরলে কামরা প্রায় ফাঁকা হয়ে পরে।নির্যাতিতা কোলের সন্তান নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই কামড়াতেই ওই দুই অভিযুক্ত ছিলো। সহ যাত্রীর সঙ্গে ভাব বিনিময় থাকায় প্রথমে তেমন সন্দেহ করেন নি মহিলা ।ফকিরাগ্রাম স্টেশন অতিক্রম করার পরেই মতলব আটে অভিযুক্তরা। তারপর শ্রী রামপুর এলাকায় আসতেই সুযোগ বুঝে এক যুবক মহিলার উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। প্রথমে মহিলা চমকে যান। ধর্ষকের হাত থেকে বাঁচতে অপর যুবকের সহযোগিতা চান।তবে সেই যুবকের কাছ থেকে সহযোগিতা না পেলে চিৎকার শুরু করেন। কোলের শিশুকে কেড়ে নেয় বলে অভিযোগ। সঙ্গীকে ধর্ষন করতে না দিলে তার কোলের সন্তানকে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হতে থাকে।একদিকে ধর্ষকের থাবা অপর দিকে তার সঙ্গীর মুখ থেকে সন্তানকে ফেলে দেওয়ার হুমকিতে দিশেহারা হয়ে পরেন ওই নির্যাতিতা।
তবে ট্রেন আলিপুরদুয়ার জংশন স্টেশনে পৌঁছাতেই সাহস পান ওই মহিলা ।কোলের শিশুকে নিয়ে কোনো মতো প্রাণে বাঁচিয়ে সোজা জি আর পি এফের অফিসে হাজির হন নির্যাতিতা ।তারপর সেখানে অভিযোগ করেন।মহিলার কথা মতো জি আর পি এফ ওই দুই অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে।শেষ পর্যন্ত মহিলা ও অন্যান্য যাত্রীদের সহযোগীতায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে জি আর পি ।রবিবার তাদের আলিপুরদুয়ার জেলা আদালতে তোলা হয়।
একটি চলন্ত ট্রেনে জেনারেল কামরায় ধর্ষণ করা কিভাবে সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।জেনারেল কামরায় সাধারনত ভীর থাকে।শ্রীরাম পুর থেকে আলিপুরদুয়ার জংশন স্টেশনের দূরত্ব প্রায় ৪০ কিলোমিটার ।তার মাঝে জোরাই ,কামাক্ষাগুড়ি রোড ,শামুকতলা স্টেশন পরে ।তবে ট্রেনটি ফকিরা গ্রামের পর আলিপুরদুয়ার জংশন স্টেশনে স্টপেজ থাকে। প্রায় আধা ঘন্টা থেকে পনে এক ঘন্টা সময় লাগে । বিষয়টি অবগত থাকায় অভিযুক্তরা ধর্ষণ করার ছক কসে বসে । চলন্ত ট্রেনে অভিযুক্তরা সাহস কিভাবে পেল তা বুঝতে পারছেন না কেউই। ফকিরা গ্রামের পর বেশির ভাগ যাত্রী নেমে পরতেই অভিযুক্তরা সুযোগ পেয়ে যায় বলে মনে করছে জি আর পি। ঘটনায়৷অভিযোগ জানাতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন ওই নির্যাতিতা, অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন তিনি।