আত্মহত্যাই করেছেন অর্জুন চৌরাসিয়া। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অন্তত সেই দিকেই ইঙ্গিত করল। অর্থাৎ বিজেপি নেতারা রাস্তায় নেমে, মিছিল করে রাজনৈতিক হত্যার যে অভিযোগ তুলেছিল তা বাতিল হয়ে গেল। আরও স্পষ্ট করে বললে, অর্জুন এবং বিজেপির দাবি মতো আরজি করের বদলে আলিপুর কম্যান্ড হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পরেই আত্মহত্যার খবর জানা যাচ্ছে। আলিপুর কম্যান্ড হাসপাতাল সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
শনিবার কম্যান্ড হাসপাতাল সূত্রে অর্জুনের ময়নাতদন্তের যে প্রাথমিক রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে তাতে এই বিজেপি কর্মী আত্মহত্যা করেছিলেন বলেই খবর। এই খবরকে যেন শিলমোহর দিয়েছি বিজেপিই। কারণ তাদের করা একটি টুইটে অর্জুন আত্মহত্যা করেছেন বলেই উল্লেখ করা হয়েছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের পাশাপাশি বঙ্গ বিজেপি, অমিত শাহ, অমিতাভ চক্রবর্তী, কল্যাণ চৌবের মতো বিজেপি নেতাদের ট্যাগ করা হয়েছে ওই টুইটে।
শুক্রবার সকালে কাশীপুরের একটি পরিত্যাক্ত বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় বিজেপির যুব কর্মী অর্জুন চৌরাসিয়াকে। তারপরেই আসরে নামেন বিজেপির নেতারা। বিষয়টিকে রাজনৈতিক খুন বলে মন্তব্য করা হয়। সফরসূচি পরিবর্তন করে চৌরাসিয়ার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ। তিনিও দাবি করেন এটা রাজনৈতিক হত্যা। পরিবার-বিজেপির দাবি এবং হাইকোর্টের নির্দেশ মতো অর্জুনের দেহের ময়নাতদন্ত হয় আলিপুর কম্যান্ড হাসপাতালে। কারণ আরজি কর বা অন্য কোথাও ময়নাতদন্ত হলে রিপোর্টে কারিকুরি হতে পারে বলে দাবি ছিল বিজেপির। শনিবার সেই কম্যান্ড হাসপাতাল সুত্রেই জানা গেল, অর্জুনের মৃত্যু আত্মহত্যাই।