সূচ-সুতো দিয়ে বোনা রাষ্ট্রপতির ছবি তাঁর হাতে তুলে দিতে না পেরে আক্ষেপে দিন কাটলো দত্তপুকুরের জহরবাবু’র
সুদীপ্ত দাস, ২৭ মার্চ, বারাসত : তাঁর সারাদিনটাই কাটলো আক্ষেপে, শুধুমাত্র টিভি’র পর্দাতেই রাষ্ট্রপতিকে দেখে। স্বপ্ন রইল অধরা। দু’দিনের বাংলা সফরে এসেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তাঁর কাছে পৌঁছে নিজের হাতে বোনা ছবি রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দেওয়ার কথা ছিল দত্তপুকুরের সূচিশিল্পী জহর আলি মল্লিকের। কিন্তু প্রশাসনিকভাবে তথ্য সংগ্রহ হওয়ার পরেও কথা মতন রাষ্ট্রপতির কাছে পৌঁছে তাঁর সৃষ্টিকে দ্রৌপদী মুর্মুর হাতে তুলে দেওয়ার ডাক পেলেন না জহরবাবু। বাংলা-সফরে আসা রাষ্ট্রপতিকে টিভির পর্দাতে দেখতে দেখতে গুমরাচ্ছেন দত্তপুকুরের জহর।
দত্তপুকুরের ছোট জাগুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বোরা গ্রামের বাসিন্দা জহর আলি মল্লিক। সূচ আর সুতোর সাহায্যে আজ প্রায় তিন যুগ ব্যাপী বুনে চলেছেন হাজারেরও বেশি মানুষের মুখ। তবে সম্প্রতি তিনি কাপড়ে ফুটিয়ে তুলেছিলেন ভারতের বর্তমান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু’কে। আর সেজন্যই রাষ্ট্রপতি’র বাংলা সফরের দিকে তিনি তাকিয়ে ছিলেন। ২৭ ও ২৮ শে মার্চ রাষ্ট্রপতি দু-দিনের জন্য বাংলা সফরে এলেন। এটাই তাঁর প্রথমবার পশ্চিমবঙ্গে আসা।
জহরবাবু এর আগে রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালাম, রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গাঁধী, এনাদের প্রতিকৃতি তৈরি করে সেগুলো তুলে দিয়েছিলেন তাঁদের হাতে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির দফতরে ই-মেল করে তাঁর তৈরি করা ছবি রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তাব দেন তিনি।
রাষ্ট্রপতির দপ্তরের পক্ষ থেকে জহরবাবুর নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দফতর জহরের সম্বন্ধে রিপোর্ট সংগ্রহ করেন। জহরের দাবি, দপ্তরের পক্ষ থেকে তাকে জানানো হয় বাংলায় যখন রাষ্ট্রপতি আসবেন তখন আমি গিয়ে এই উপহার তুলে দিতে পারব। বাংলায় এসেছেন রাষ্ট্রপতি। কিন্তু, আমার ডাক এলো না।
আক্ষেপের সুরে তিনি বলেন, ২০০৬ সালে আমি এপিজে আবদুল কালামকে নিজে হাতে ছবি তুলে দিয়েছিলাম। সেই সময় সমস্ত তথ্য সংগ্রহের পরেই আমাকে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। এবার আমি বঞ্চিত হলাম। তবে ছবিটিকে যত্ন করে আলমারিতে তুলে রেখেছি। কখনো রাষ্ট্রপতির হাতে এই ছবি তুলে দিতে পারবো তার অপেক্ষায় থাকলাম।