বঙ্গভাগের কথা কেউ বলেনি’ বলে সুরবদল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। উত্তরবঙ্গ সফর থেকে ফিরে সোমবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে মর্নিং ওয়াকে আসেন তিনি। সেখানেই সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে ‘বঙ্গভাগের কথা কেউ বলেনি’ বলে দাবি করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
তিনি বলেন, ‘কেউ কোনও বঙ্গভাগের কথা বলেনি। উত্তর বাংলার মানুষ, জঙ্গল মহলের মানুষ ৭০-৭৫ বছর থেকে বঞ্চিত। তাঁরা এখনও চাকরির জন্য অন্য রাজ্যে যাচ্ছেন। পড়াশোনার জন্য বাইরে যাচ্ছেন, চিকিৎসার জন্য বাইরে যাচ্ছেন। কোনও রকমে শাল পাতা, কেঁদু পাতা ভেঙে নিয়ে এসে জীবন যাপন করছেন। সেখানকার মানুষের উন্নয়নের দাবি পূরণ হয়নি’।
দিলীপ ঘোষ দাবি করেছেন, ‘তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনী অত্যাচার চালাচ্ছে, সে কারণেই ওইসব এলাকার সাধারণ মানুষ মনে করেছে, এখানে থাকলে কোনও উন্নতি হবে না। তাই তাঁরাই এসব কথা বলছেন। ওই এলাকায় যে জন প্রতিনিধিরা মানুষের ভোটে জিতেছেন, তাঁরা এলাকার মানুষের আওয়াজকেই তুলে ধরেছেন। কোনও বিভাজনের পক্ষে আমরা নেই’।
প্রসঙ্গত, শনিবারই জলপাইগুড়িতে জন বার্লার পাশে বসে BJP রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘যদি জঙ্গলমহল এবং উত্তরবঙ্গ আলাদা হতে চায়, তার দায়িত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি গোর্খাল্যান্ডের দাবি জিইয়ে রেখে সমঝোতা করে সরকার চালিয়েছেন’।
এরপরে অবশ্য পদ্ম শিবিরের অন্দরেই বিরোধিতা শুরু হয়। BJP নেতা রাহুল সিনহা বলেন,’পশ্চিমবঙ্গে রাখির রাজনৈতিক এবং ভৌগলিক গুরুত্ব আছে। ১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতা করে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নতুন করে রাখি উৎসব প্রবর্তন করেছিলেন। নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ যে কারণে রাখি উদযাপন করেছিলেন, তার গুরুত্ব আজও রয়েছে। কারণ, আজও একদল মানুষ বঙ্গভঙ্গ করতে চায়’।
তিনি বলেন, ‘যাঁরা রাজ্যের নাম পরিবর্তন করে রাজ্যের ইতিহাসকে মিটিয়ে দিতে চায় যাঁরা রাজ্যকে ভৌগলিকভাবে ভাগ করতে চায়, তাঁরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অবমাননা করছেন’।
রবিবার লকেট চট্টোপাধ্যায়ও বলেন, ‘বাংলা আমাদের গর্বের জায়গা। বাঙালির ভাবনা অন্য ধরনের। তাঁরা অন্যভাবে ভাবেন। দিলীপ ঘোষ কী বলেছেন জানি না। তবে পূর্ব থেকে পশ্চিম, উত্তর থেকে দক্ষিণ, বাংলা এক। বাংলা থাকবে বাংলাতেই’।
আরও খবর পড়ুন……..
একগুচ্ছ সামাজিক কর্মসূচি নিয়ে ২৭ তম জন্মদিন পালন করলেন আমাদের উত্তরের সংবাদ ২৪×৭ এর সাংবাদিক মিল্টন সরকার। শনিবার তার ২৭ তম জন্মদিনে নিজ বাসভবন দিনহাটার সাহেবগঞ্জে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিলেন তিনি। এদিনের রক্তদান শিবিরে রক্ত দান করে তার পঞ্চম বারের রক্তদান পূর্ণ করেন। পাশাপাশি শিবিরে মোট ১৩ জন রক্ত দান করেছে বলে জানা গেছে। প্রত্যেক রক্তদাতাকে একটি করে নিম চাড়া উপহার দেওয়া হয়। রক্ত দানের পাশাপাশি মিল্টন সরকার নিজ বাসভবন ভবনসহ বিভিন্ন এলাকায় বৃক্ষ রোপন করে এবং বিভিন্ন বাজারে মানুষকে সচেতন করতে মাস্ক বিলি করেন।
জানা গেছে দিনহাটা ব্লাড ব্যাংক এবং ব্লাড ডোনার অরগানাইজেশনের নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা এই শিবিরে সহযোগিতা করেছিল। এদিনের শিবিরে উপস্থিত ছিলেন দিনহাটার বিশিষ্ট চিকিৎসক অজয় মণ্ডল, গ্রামীণ চিকিৎসক এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা।
জন্মদিনে রক্তদান শিবির উপলক্ষে মিল্টন সরকার জানান, বিগত কয়েক বছর থেকেই তিনি বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক কর্মসূচির মাধ্যমে জন্মদিন পালন করে আসছেন। এবছর ২৭ তম জন্মদিনে রক্তদান শিবির, বৃক্ষরোপণ, চারাগাছ বিলি, মানুষকে সচেতন করতে মাস্ক বিতরণ করেন। জেলা রক্ত সংকট মেটাতে এই মুহূর্তে রক্তদান শিবির অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করেন তিনি। তাই জন্মদিন সহ বিশেষ দিনগুলিতে সকলেই যদি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে তাহলে রক্তের ঘাটতি অনেকটাই কমে যাবে পাশাপাশি ব্লাডব্যাংক গুলিতে রক্তের যোগান থাকবে বলে জানান তিনি।
সামাজিক অনুষ্ঠান শেষে কেক কেটে পরিবারের সঙ্গে জন্মদিনের আনন্দে মেতে ওঠেন।
সারাদিন ধরে অভিনব ভাবে জন্মদিনে পালন এবং স্মরণীয় করে রাখতে মিল্টন সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলেই।