রাজ্যঃ
হতাশা থেকেই বিজেপি রাজ্যকে খণ্ডিত করার চক্রান্ত করছে। সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনই অভিযোগে সরব হলেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু তিনি বলেন, ‘মূলত একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ধরাশায়ী হওয়ার পর থেকেই উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য হিসাবে গড়ে তোলার জন্য সোচ্চার হয়েছে BJP। চূড়ান্ত রাজনৈতিক হতাশা থেকেই BJP রাজ্যকে খণ্ড-খণ্ড করার চক্রান্ত করছে।’
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উক্তি উল্লেখ করে ব্রাত্য বসু বলেন, ‘বিধানসভা নির্বাচনে এত খারাপ ফল করার পর BJP-র লজ্জিত হওয়া উচিত ছিল।’ পুরভোটের পর BJP বিভিন্ন পুর এলাকাকে খণ্ডিত করবে বলেও কটাক্ষ করেন ব্রাত্য বসু। আসন্ন পুরভোটেও BJP ধরাশায়ী হবে এবং তৃণমূল বিপুল ভোটে জয়ী হবে দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘করোনার জন্য পুরভোট হয়নি। পুরভোট হয়ে গেলে BJP বিভিন্ন পুর এলাকাকে খণ্ডিত করে এক- একটা রাজ্য করতে চাইবে।’ BJP নেতৃত্বদের কথার মিল নেই বলেও এদিন অভিযোগ তোলেন রাজ্যের মন্ত্রী।
BJP রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) উত্তরবঙ্গ বিভাজনের পক্ষে ও বিপক্ষের মন্তব্যের ভিডিয়ো ফুটেজ তুলে ধরেন তিনি। উত্তরবঙ্গে উন্নয়ন হয়নি বলে BJP যে দাবি করছে, এদিন তা নস্যাত্ করে দেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘চলতি আর্থিক বছরে উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকার ৭৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। এছাড়া চা বাগান শ্রমিকদের বাসস্থান নির্মাণের জন্য ‘চা সুন্দরী’ প্রকল্প নিয়েছে সরকার। এর জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ২০০ একর জমির উপর বাসস্থান নির্মাণের কাজ শুরু করেছে সরকার। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে সচিবালয়ের শাখা খোলা হয়েছে। যাতে নানা কাজে উত্তরবঙ্গের মানুষদের কলকাতায় আসতে না হয়।’ রাজ্যকে বিভাজিত করার প্রচেষ্টা কোনোভাবে মেনে নেওয়া হবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়েছেন ব্রাত্য বসু।
আরও খবর পড়ুন…….
দিলীপ ঘোষ এর ভোল বদল
বঙ্গভাগের কথা কেউ বলেনি’ বলে সুরবদল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। উত্তরবঙ্গ সফর থেকে ফিরে সোমবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে মর্নিং ওয়াকে আসেন তিনি। সেখানেই সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে ‘বঙ্গভাগের কথা কেউ বলেনি’ বলে দাবি করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
তিনি বলেন, ‘কেউ কোনও বঙ্গভাগের কথা বলেনি। উত্তর বাংলার মানুষ, জঙ্গল মহলের মানুষ ৭০-৭৫ বছর থেকে বঞ্চিত। তাঁরা এখনও চাকরির জন্য অন্য রাজ্যে যাচ্ছেন। পড়াশোনার জন্য বাইরে যাচ্ছেন, চিকিৎসার জন্য বাইরে যাচ্ছেন। কোনও রকমে শাল পাতা, কেঁদু পাতা ভেঙে নিয়ে এসে জীবন যাপন করছেন। সেখানকার মানুষের উন্নয়নের দাবি পূরণ হয়নি’।
দিলীপ ঘোষ দাবি করেছেন, ‘তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনী অত্যাচার চালাচ্ছে, সে কারণেই ওইসব এলাকার সাধারণ মানুষ মনে করেছে, এখানে থাকলে কোনও উন্নতি হবে না। তাই তাঁরাই এসব কথা বলছেন। ওই এলাকায় যে জন প্রতিনিধিরা মানুষের ভোটে জিতেছেন, তাঁরা এলাকার মানুষের আওয়াজকেই তুলে ধরেছেন। কোনও বিভাজনের পক্ষে আমরা নেই’।