উত্তর দিনাজপুরঃ
রেললাইনের উপর বসে ভিডিয়ো গেম খেলতে মগ্ন ছিল। সেই সময় ওই লাইনে ট্রেন চলে আসায় ট্রেনে কাটা পড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হল ৪ কিশোরের। উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া থানার হাপতিয়াগছ গ্রাম পঞ্চায়েতের ধুমডাঙ্গি কণাগছ এলাকায় এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম রাহুল সিং (১৪), রাজেশ সিং (১৩), সৌরভ সিং (১৪)। আরও এজরনের নামও রাহুল সিং বলেই জানতে পেরেছে পুলিশ। রবিবার রাতে চলন্ত ট্রেনে কাটা পড়েই এদের মৃত্যু হয়েছে। ইসলামপুর জেলার পুলিশ সুপার শচীন মক্কর ‘এই সময় ডিজিটাল’কে বলেন, ‘খুবই দুঃখজনক ঘটনা। চারজনেরই মৃত্যু হয়েছে। অভিভাবকদেরও এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।’
উত্তর-পূর্ব রেলের সদর দফতর (মালিগাও)-এর তরফেও এদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার গভীর রাতে ধুমডাঙ্গি কণাগছ এলাকার কয়েকজন কিশোর রেললাইনের উপর বসে একমনে গেম খেলছিল। সেই সময় আচমকাই ওই লাইনে একটি ট্রেন চলে আসে। একইসঙ্গে পাশের লাইনেও ট্রেন চলে আসে। ফলে ওই কিশোরেরা সরে যাওয়ার সুযোগ পায়নি। একপ্রকার কিছু বুঝে ওঠার আগেই চলন্ত ট্রেনের চাকায় ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় চারজনের দেহ। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান ধুমডাঙ্গি স্টেশনের রেলপুলিশ ও রেলের আধিকারিকরা। মোবাইলে তাঁরা PUBG খেলছিল বলেই জানা গিয়েছে।
আরও খবর পড়ুন……
‘কোনও বিভাজনের পক্ষে আমরা নেই’,সুরবদল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের
বঙ্গভাগের কথা কেউ বলেনি’ বলে সুরবদল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। উত্তরবঙ্গ সফর থেকে ফিরে সোমবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে মর্নিং ওয়াকে আসেন তিনি। সেখানেই সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে ‘বঙ্গভাগের কথা কেউ বলেনি’ বলে দাবি করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
তিনি বলেন, ‘কেউ কোনও বঙ্গভাগের কথা বলেনি। উত্তর বাংলার মানুষ, জঙ্গল মহলের মানুষ ৭০-৭৫ বছর থেকে বঞ্চিত। তাঁরা এখনও চাকরির জন্য অন্য রাজ্যে যাচ্ছেন। পড়াশোনার জন্য বাইরে যাচ্ছেন, চিকিৎসার জন্য বাইরে যাচ্ছেন। কোনও রকমে শাল পাতা, কেঁদু পাতা ভেঙে নিয়ে এসে জীবন যাপন করছেন। সেখানকার মানুষের উন্নয়নের দাবি পূরণ হয়নি’।
দিলীপ ঘোষ দাবি করেছেন, ‘তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনী অত্যাচার চালাচ্ছে, সে কারণেই ওইসব এলাকার সাধারণ মানুষ মনে করেছে, এখানে থাকলে কোনও উন্নতি হবে না। তাই তাঁরাই এসব কথা বলছেন। ওই এলাকায় যে জন প্রতিনিধিরা মানুষের ভোটে জিতেছেন, তাঁরা এলাকার মানুষের আওয়াজকেই তুলে ধরেছেন। কোনও বিভাজনের পক্ষে আমরা নেই’।
প্রসঙ্গত, শনিবারই জলপাইগুড়িতে জন বার্লার পাশে বসে BJP রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘যদি জঙ্গলমহল এবং উত্তরবঙ্গ আলাদা হতে চায়, তার দায়িত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি গোর্খাল্যান্ডের দাবি জিইয়ে রেখে সমঝোতা করে সরকার চালিয়েছেন’।
এরপরে অবশ্য পদ্ম শিবিরের অন্দরেই বিরোধিতা শুরু হয়। BJP নেতা রাহুল সিনহা বলেন,’পশ্চিমবঙ্গে রাখির রাজনৈতিক এবং ভৌগলিক গুরুত্ব আছে। ১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতা করে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নতুন করে রাখি উৎসব প্রবর্তন করেছিলেন। নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ যে কারণে রাখি উদযাপন করেছিলেন, তার গুরুত্ব আজও রয়েছে। কারণ, আজও একদল মানুষ বঙ্গভঙ্গ করতে চায়’।
তিনি বলেন, ‘যাঁরা রাজ্যের নাম পরিবর্তন করে রাজ্যের ইতিহাসকে মিটিয়ে দিতে চায় যাঁরা রাজ্যকে ভৌগলিকভাবে ভাগ করতে চায়, তাঁরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অবমাননা করছেন’।
রবিবার লকেট চট্টোপাধ্যায়ও বলেন, ‘বাংলা আমাদের গর্বের জায়গা। বাঙালির ভাবনা অন্য ধরনের। তাঁরা অন্যভাবে ভাবেন। দিলীপ ঘোষ কী বলেছেন জানি না। তবে পূর্ব থেকে পশ্চিম, উত্তর থেকে দক্ষিণ, বাংলা এক। বাংলা থাকবে বাংলাতেই’।