মঙ্গলবার দুপুর অনুমানিক ১২ টা নাগাদ ময়নাগুড়ি ব্লকের খাগড়াবাড়ি ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের নীরেনন্দ্রপুর গ্রামে এক অবিবাহিত যুবকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে ধর্নায় বসলেন এক বিবাহিত মহিলা। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায় ।ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। জানা গেছে ওই বিবাহিত মহিলার বয়স আনুমানিক ৩২ তার বাড়ি শিলিগুড়ি ফুলবাড়ি এলাকায়। এদিন ওই মহিলা খাগড়াবাড়ি ২ নং সংলগ্ন নীরেন্দ্রপুর এলাকার যুবকের সঙ্গে প্রেমের দাবি করেন এবং বিয়ে করার জন্যই সেই বাড়ির সামনেই ধন্য বসেন। পরে পুলিশ এসে ওই মহিলাকে থানায় নিয়ে যায়। এদিকে ধর্ণার পরেই ওই যুবক পলাতক। ময়নাগুড়ি থানা সূত্রে খবর, মহিলাটিকে থানায় তুলে আনা হয়েছে। উভয় পক্ষকে ডাকা হয়েছে।
আরও খবর পড়ুন…..
পুজোর বাজার করে বাড়ি ফেরার পথে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত ১
কোচবিহারঃ
দুর্গা পুজোর মাত্র আর কুড়ি দিন বাকি তার আগে পুজোর বাজার করে বাড়ি ফেরার পথে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হল এক পরিবারের তিন সদস্য। কোচবিহারের রামকৃষ্ণ মঠ সংলগ্ন ভাওয়াল মোর টোল গেটের সামনে পুজোর বাজার করে বাড়ি ফেরার পথেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয় তিনজন। দুর্ঘটনায় কবলিতদের বাড়ি কোচবিহারের ঘুঘুমারী এলাকায়। ঘটনার জেরে মৃত্যু হয় ১ জনের আর বাকি দু’জন গুরুতর আহত হয়ে কোচবিহার মেডিকেল কলেজে ভর্তি রয়েছেন। এই দূর্ঘটনার জেরে এক লরি ড্রাইভারকে আটক করা হয়েছে।
এলকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান,”একটি বাইকে এক পরিবারের তিনজন সদস্য (স্বামী, স্ত্রী ও ছেলে) তিনজন পুজোর বাজার করে বাড়ি ফিরছিলেন। দুর্ঘটনা যে স্থলে ঘটেছে সেখানে রাস্তার পরিস্থিতি খুব খারাপ থাকায় কারণে গাড়ির গতি কমিয়ে আস্তে করার পর হঠাৎ একটি বলেরো ট্রাক তাদের বাইকের পেছনে ধাক্কা মারে। তার ফলে তারা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তায় পড়ে যান এবং সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনা স্থলে মৃত্যু হয় বাইকে থাকা মহিলার। বাকি দুইজন সদস্যকে (স্বামী এবং ছেলে) গুরুতর আহত অবস্থায় কোচবিহার মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।” ঘটনা স্থলে কোচবিহার কোতোয়ালি থানার পুলিশ পরিস্থিতি ক্ষতিয়ে দেখতে আসলে এলাকার ক্ষুব্ধ জনতা তাদের সামনে নিজেদের ক্ষোভ উগড়ে দেন। তারা জানান, “বহুদিন যাবৎ এই রাস্তাটি খুবই খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। আগে এই রাস্তায় অনেক গর্ত ও ভাঙ্গা থাকলেও কিছুদিন আগে রাস্তা মেরামতি করার কারণে সেই গর্তের মধ্যে ইট দিয়ে ভরে দেওয়া হয়েছে। তার ফলে এই রাস্তায় দুর্ঘটনা কবলিত হওয়ার আশঙ্কা অনেকগুণ বেড়ে গেছে।” তাই তারা দাবি জানান এই রাস্তায় যদি ভবিষ্যতে দূর্ঘটনা এড়াতে হয় তবে এই রাস্তা অবিলম্বে সংস্কার করতে হবে। কিছুক্ষণের জন্য তারা রাস্তায় সমস্ত প্রকার যান চলাচল বন্ধ করে দেন। তারপর পুলিশ প্রশাসনের অনুরোধে তারা রাস্তা পুনরায় খুলে দেন।