আলিপুরদুয়ারঃ
শুক্রবার ছিল জেলা আলিপুরদুয়ারের জন্মদিন। এই উপলক্ষে জেলার নানা প্রান্তে নানান বর্নাঢ্য নানান ঢঙের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থ্যা। এদিন আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদ ভবনে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলার সপ্তম বর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে একেবারে চাদের হাট বসে। আলিপুরদুয়ারের জেলা শাসক সুরেন্দ্র কুমার মীনা, আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সভাধিপতি শীলা দাস সরকার, আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মৃদুল গোস্বামি, আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী, আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি বাবলু কর সহ বিভিন্ন বিশিষ্ট জনেরা উপস্থিত ছিলে। কোভিড বিধি নিষেধ থাকায় সর্বত্রই ছিম ছাম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আলিপুরদুয়ার রবীন্দ্রভবনে অল ইন্ডিয়া এসোসিয়েশন ফর দি ডেভেলপমেন্ট অফ আরবান এন্ড রুরাল সেক্টরের পক্ষ থেকে বিশিষ্টজনেদের সংবর্ধনা জ্ঞাপন অনুষ্ঠান হয় । মুলত প্রাক্তন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীর উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শিল্পী, সাহিত্যিক, লেখক ক্রীড়াবিদদের এখানে জেলার জন্মদিন উপলক্ষে স্মারক সন্মান জানানো হয়। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনিক ভবন ডুয়ার্স কন্যাতেও একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সর্বত্রই কেক কেটে জেলার জন্মদিন পালন করা হয়। তবে জেলার জন্মদিন উদযাপন অনুষ্ঠানে সরকারিভাবে কোথাও বিজেপির বিধায়ক বা সাংসদদের আমন্ত্রন করা হয় নি। উল্লেখ্য ২০১৪ সালের ২৫ জুন অধুনা জলপাইগুড়ি জেলা থেকে বিচ্ছিন্ন করে আলিপুরদুয়ারকে আলাদা জেলা ঘোষনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অনান্য খবর- যাত্রীদের জন্য সুখবর শোনাল উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল,আসছে ১ জোড়া নতুন শতাব্দী এক্সপ্রেস
আজ জেলা আলিপুরদুয়ারের জন্মদিন নানান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালিত হল
অনান্য খবর- দীঘায় পর্যটকদের ভীড় জমতে শুরু করেছে।
এদিন ছিল আলিপুরদুয়ারের সপ্তম বর্ষ জন্মদিন। আলিপুরদুয়ারের জেলা শাসক সুরেন্দ্র কুমার মীনা বলেন, ” এদিন ছিল আলিপুরদুয়ারের জন্ম দিন। কোভিড বিধি মেনে সপ্তম বর্ষ জন্মদিন উদযাপিত হয়েছে। সর্বত্রই এদিন জেলা বাসির মধ্যে খুশির মেজাজ লক্ষ্য করা গেছে।” তবে অনেকেই জেলার সপ্তম বর্ষ জন্মদিনে প্রশাসনিক সংস্কার, বিকল্প কালজানি সেতু, কর্মসংস্থানের সুযোগ, ভালো মানের স্টেডিয়াম সহ নানান অপ্রাপ্তির বিষয় তুলে ধরেছেন। বিশিষ্ট লেখক পরিমল দে বলেন, ” জেলার জন্মদিন। অপ্রাপ্তি অবশ্যই রয়েছে। তবে জন্মদিনে অপ্রাপ্তির বিষয় তুলে হতাশ হওয়ার থেকে বরং প্রাপ্তির ঝুলি খুলে আনন্দে মেতে ওঠাই শ্রেয়। এই দিনটা জেলার সকলের কাছেই ঐতিহাসিক এইটা দিন।”