ডুয়ার্সঃ

শীত পড়তেই পর্যটকদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে ডুয়ার্সে। আলিপুরদুয়ার জেলার ডুয়ার্সের রানী বলে পরিচিত জয়ন্তীতে পর্যটকদের আনাগোনায় খুশির হাওয়া পর্যটন ব্যবসায়ীদের মধ্যে।

প্রতি বছর এই সময়টা পর্যটকরা পাহাড়ে ঘোরার পাশাপাশি ডুয়ার্সে আসেন জঙ্গল ও বন্যপ্রাণী দেখতে। এ বারও ব্যতিক্রম হয়নি। করোনার কারণে গত বছর অবশ্য ছবিটা ছিল একেবারে অন্যরকম। আর তাতেই বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল পর্যটন শিল্পকে। এবার করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় এবং টিকাকরণের কাজ বেশ খানিকটা এগিয়ে যাওয়া সরকারি নিষেধাজ্ঞা খানিকটা শিথিল হয়েছে। আর সেই কারণেই পর্যটকদের সংখ্যাও বাড়তে শুরু করেছে।

স্বাভাবিকভাবেই পর্যটন ব্যবসায়ীদের মুখে চওড়া হাসি। ভিড় হচ্ছে জঙ্গলে জঙ্গলে। বিশেষ করে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের শতাব্দী প্রাচীন রায়ডাক বন বাংলো-সহ বক্সার জঙ্গলে বেশি পর্যটকদের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

আলিপুরদুয়ার জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি বিশেষ করে রাজাভাতখাওয়া, জয়ন্তী, সিকিয়াঝোড়া, ভুটানঘাট, চুনিয়াঝোড়া, ফাঁসখাওয়া, কুঞ্জনগর, দক্ষিণ খয়েরবাড়ি-সহ জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে প্রতিদিন পর্যটকদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে প্রতিদিন সকাল ও বিকেলে জিপসি সাফারিতে পর্যটকদের ভালোই সাড়া পাওয়া যাচ্ছে নতুন করে।

আলিপুরদুয়ারের চিলাপাতার পর্যটন ব্যবসায়ী বিমল রাভা বলেন, ‘গত বছর কোভিড অতিমারীর প্রেক্ষিতে জেরে পর্যটকরা আসেনি। সে কারণে আমাদের ব্যবসাও তেমন হয়নি। বহু মানুষ জানিয়েছিলেন, আসার ইচ্ছে থাকলেও করোনা সংক্রমণের কারণে তাঁরা আসতে পারেনি। কিন্তু, এবার আমরা ভালো সাড়া পাচ্ছি। পর্যটক আসতে শুরু করেছে।’

জয়ন্তীর স্থায়ী বাসিন্দা তথা পর্যটন ব্যবসায়ী অয়ন নাইডু বলেন, পর্যটকেরা যেমন এখানে আসছেন, জয়ন্তীতে পর্যটকদের ভীর বাড়ছে। আমরা বহু অপেক্ষার পর খুশি এখন। এমনভাবে পর্যটক এলে ব্যবসা আবারও ঘুরে দাঁড়াবে, এ বিষয়ে আশাবাদী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *