Sunday, May 5, 2024
Homeময়নাগুড়িসংসারে অভাব! পেটের দায়ে পিঠে পুলির দোকান ধরেছেন নবম শ্রেণীর দীপক

সংসারে অভাব! পেটের দায়ে পিঠে পুলির দোকান ধরেছেন নবম শ্রেণীর দীপক

১৪ ডিসেম্বর : দীর্ঘ লকডাউনে কর্মহীন হয়েছেন বাবা, বাড়িতে মায়েরও কাজ নেই। ফলে সংসারের হাল ধরে রাখতে দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন নবম শ্রেণীর ছাত্র দীপক মন্ডল। তাঁর বাড়ি ময়নাগুড়ি রোড সংলগ্ন এলাকায়। সে ময়নাগুড়ি রোড স্কুলের ছাত্র

সংসারের হাল ধরতে পড়াশোনার ফাঁকে পিঠে পুলির দোকান বসিয়েছে ময়নাগুড়িতে। আর এই দোকান থেকে যা অর্থ উপার্জন হয় তা দিয়েই বর্তমানে পুরো সংসার চলছে তাদের। তবে সংসারের হাল ধরতে আদৌ পড়াশোনা চালাতে পারবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে দীপকের। দীপক প্রতিদিন ময়নাগুড়ি রোড থেকে দীর্ঘ রাস্তা অতিক্রম করে সাইকেলে করে ময়নাগুড়ি আসেন। ময়নাগুড়ির নতুন বাজারেই তার দোকান। বাড়িতে মা সহযোগিতা করেন, দোকানে সহযোগিতা করেন প্রতিবেশী এক দাদা স্বপন পাল। বেশ বিক্রিও হচ্ছে পিঠে। তার কথায় বিভিন্ন ধরণের পিঠের মধ্যে চাহিদা রয়েছে পাটি সাপ্টা, ভাপা পিঠার। তবে যেটুকু সময় দোকান নিয়ে বসেন তাতে চাহিদা অনুযায়ী যোগান দিতে পারে না বলে জানায় দীপক। দীর্ঘ লকডাউনে দীপকের বাবা কাজ হারিয়ে বাড়িতে বসা, মায়েরও কাজ নেই। অন্যদিকে স্কুল বন্ধ থাকায়, সংসারের হাল ধরতেই পিঠের ব্যবসায় নামেন দীপক মন্ডল। এতে যা রোজগার হয় তা দিয়েই দু বেলা দু মুঠো খেতে পান দীপকের পরিবার। তবে এভাবে দোকান করলে সে আদৌ পড়াশোনা করতে পারবে কি না তা নিয়েই সন্দেহ প্রকাশ করেছে। দীপক জানায়, " লকডাউনের কারনে বাবার কাজ নেই এখনো বসা আছে। মায়েরও কাজ নেই। এদিকে স্কুল বন্ধ তাই পেটের টানে বাড়িতে বসে না থেকে এই দোকান করা। পড়াশোনা চালাতে পারবো কি না জানি না। তবে পড়াশোনার ইচ্ছা আছে, দেখি কি হয়।" ঋতুচক্রের ঘূর্ণাবর্তেই আগমণ ঘটেছে শীতের। আর শীত মানেই বাঙালিদের মনে পড়ে যায় সুস্বাদু বিভিন্ন রকমের পিঠের কথা। তাই পৌষ সংক্রান্তির আগে পিঠে পাওয়া এই সুযোগ হাত ছাড়া করতে নারাজ ময়নাগুড়িবাসী। তাই পৌষ সংক্রান্তির আগেই পিঠে পুলির স্বাদ গ্রহণ করতে ময়নাগুড়ির নতুন বাজারে থাকা দীপকের দোকানে ভিড় জমান। দোকানে খাওয়ার পাশাপাশি বাড়ির জন্যেও অনেকেই প্যাকেটে করে নিয়ে যান। ময়নাগুড়ির বাসিন্দা গোবিন্দ পাল,সঞ্জয় প্রামাণিকরা বলেন, " শীত মানেই পিঠে পায়েস। তাই পৌষ সংক্রান্তির আগে পিঠে পাওয়া যাচ্ছে তাই মন তৃপ্তি করে খাচ্ছি। বছরে এক দিন মাত্র বাড়িতে পিঠে খাওয়া হয় ফলে মনের স্বাদ মেটে না। তাই ময়নাগুড়িতে পিঠে পাওয়ায় আমরা খুবই খুশি।"

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

More News

Recent Comments