নিউজ ডেস্ক:
কোচবিহার বিমানবন্দরের পরিকাঠামোগত বিষয়ে খতিয়ে দেখতে পরিদর্শনে গেলেন কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান। মঙ্গলবার দুপুরে প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে কোচবিহার বিমানবন্দরের পরিকাঠামো দিক খতিয়ে দেখতে তিনি পৌঁছে যান। সেখানে গিয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চান কোন কিছু প্রয়োজন রয়েছে কিনা বিমানবন্দরে সে বিষয়ে। প্রসঙ্গত বারংবার দেখা গিয়েছে কোচবিহার বিমানবন্দর চালুর উদ্যোগ নেওয়া হলেও অজ্ঞাত কারণবশত তা ব্যাহত হয়। তবে নতুন করে জেলাশাসকের পরিদর্শন তবে কি আবার বিমানবন্দর চালু হবে এবার সেই আশায় দিন গুনছে কোচবিহার বাঁশি।
প্রসঙ্গত, 2011 সালে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার গঠনের পর থেকেই নানাভাবে কোচবিহারের বিমানবন্দর চালু করার প্রচেষ্টায় মন দিয়েছে। রানওয়ে বৃদ্ধি সহ একাধিক পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করা হলেও বিমান ওঠানামা শুরু হয়নি। মাকে রাজ্য সরকারের তত্ত্বাবধানে 16 সিটের একটি ছোট বিমান ওঠানামা শুরু করেছিল, কিন্তু সংশ্লিষ্ট সংস্থা তা বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ। 2019 সালে নিশীথ প্রামানিক কোচবিহারের সাংসদ হওয়ার পর ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিমান পরিষেবা চালু করার চেষ্টা করলেও সেই চেষ্টা কেন্দ্রীয় সরকার ভেস্তে দেয়। এরপর থেকে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে বিমানবন্দর। কোচবিহার মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ন এর সময় কোচবিহার থেকে তামাক এবং পাট রপ্তানি করার জন্য বায়ুদূত বিমান সংস্থা সর্বপ্রথম বিমান পরিষেবা চালু করে। 1995 সালে কোনো এক অজ্ঞাত কারণে এই পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। তারপর থেকে বাম সরকার সম্পূর্ণ উদাসীন ছিল এই পরিষেবা চালু করার ক্ষেত্রে। 2011 সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিমান পরিষেবা চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করলেও রানওয়ের অবস্থা খুব খারাপ হওয়ার কারণে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। বিমান বন্দর সংলগ্ন নদী বাছাই করে তার দিক পরিবর্তন করে রানওয়ের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করা হয়। পরবর্তীতে একাধিক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কেন্দ্রীয় সরকার বাধা প্রদান করেছে বলে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে বারংবার। শেষমেষ পুনরায় পরিকাঠামো পর্যবেক্ষণে কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান এদিন বিমানবন্দরে উপস্থিত হন। এবং দ্রুত বিমান পরিষেবা চালু করার ক্ষেত্রে যা যা করণীয় তা করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।