রাজ্য, রাজনীতি:
ভবানীপুর উপনির্বাচনের প্রচারে মঙ্গলবার খিদিরপুরে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবারও তাঁর গলায়. শোনা গেল নন্দীগ্রামে চক্রান্ত করে হারানোর অভিযোগ। একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ আসলে নিয়তির ফের। আমার কপালে লেখা আছে মুখ্যমন্ত্রী হলে ভবানীপুর থেকেই হব। আমার ঈশ্বর, আমার আল্লার তাই ইচ্ছে। এর আগে ৬ বার দক্ষিণ কলকাতা থেকে লড়েছি। প্রত্যেকবার আপনাদের ভোটই আমাকে জিতিয়েছে। আপনাদের ছেড়ে যাওয়া সম্ভব নয়।’
একইসঙ্গে ভবানীপুর নির্বাচনী কেন্দ্রের প্রত্যেক ভোটারের কাছে ভোটদানের আর্জি করেন নেত্রী। তিনি বলেন, ‘আপনাদের প্রত্যেকটা ভোট গুরুত্বপূর্ণ। ১টা ভোট না পেলেও আমার ক্ষতি হয়ে যাবে। অনেকে ভাবছেন, দিদি এমনিই জিতে যাবেন। আবার বৃষ্টির মধ্যে ভোট দিতে যাব কেন। কিন্তু, দোহাই ওই কাজটি করবেন না। আপনাদের প্রতিটা ভোট আমার দরকার। ভোট না দিলে আমাকে পাবেন না। আমি না জিতলে তৃণমূলের মুখ্যমন্ত্রী, অন্য কেউ হবে, আমি নয়।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় নিয়ে গোটা দল আত্মবিশ্বাসী হলেও কোনও লড়াই যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হালকা, দায়সারাভাবে নেন না তা ভবানীপুরের প্রচারের প্রথম দিন থেকেই স্পষ্ট। জনসংযোগে কোনওরকম ফাঁক দিতে নারাজ তৃণমূল সুপ্রিমো।
BJP-কে নিশানা মমতার। এদিন প্রচার মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, ‘বাংলা একমাত্র জায়গা সবাই আসতে পারে। একুশের নির্বাচনের আগে বাংলায় ডেলিপ্যাসেঞ্জারি করত BJP আর ওদিকে ত্রিপুরায় যেতে গেলে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। অভিষেক মিছিল করতে চেয়েছে বলে ওকে আটকাতে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে ওখানে। অর্থাৎ পুজোতেও জারি ১৪৪ ধারা। প্রয়োজনে ত্রিপুরায় খেলা হবে। আমরা খেলব, জিতব, BJP-কে দেশ থেকে তাড়াব।’
প্রসঙ্গত, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণ হবে হাইভোল্টেজ এই ভবানীপুর কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রের ৪০ শতাংশ ভোটারই অবাঙালি। সেই সম্প্রদায়ের মন ছুঁতে তাই জনসংযোগের উপর জোর দিচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী Mamata Banerjee।