Uttorersangbad : MAMATA ON BSF বিএসএফের দেওয়া কার্ড নিলে NRC-র আওতায় পড়ে যাবেন বলে কোচবিহারের সভা থেকে সতর্ক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরই বিএসএফের সেই কার্ড নিয়ে নানা মহলে আলোচনা শুরু হয়। এই বিষয়টি স্পষ্ট করল বর্ডার সিকিওরিটি ফোর্স। বাহিনীর ইস্টার্ন কম্যান্ডের DIG এসএস গুলারিয়া বলেন, অনুপ্রবেশকারী ও পাচারকারীরা যাতে ভারতে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য কাটাতার যারা পার করেন তাদের একটি গেট পাস দিচ্ছে BSF
এদিন বিএসএফের ডিআইজি বলেন, ‘পরিচয়পত্র দেওয়ার কোনও এক্তিয়ার বিএসএফের নেই। বিএসএফ একটি গেট পাস দিচ্ছে। ভারত – বাংলাদেশ দীর্ঘ সীমান্তে অনেকেরই জমি কাটাতারের ওপারে রয়েছে। তাঁরা সেখানে চাষ আবাদ করতে যান। এতদিন আধার কার্ডের নম্বর নথিভুক্ত করে কাটাতারের বেড়া পার করতে দেওয়া হত। কিন্তু সম্প্রতি দেখা যায় বহু বাংলাদেশি পাচারকারী ভারতীয় আধার কার্ড বানিয়ে ফেলেছে। তাদের মাধ্যমে চলছে সীমান্তের ওপারে পাচার। সেই পাচারকারীদের রুখতে কাঁটাতারের ওপারে জমির বৈধ মালিকদের একটি গেট পাস দেওয়া হচ্ছে। এটা কোনও পরিচয়পত্র নয়। এতে স্থানীয়দের যেমন হয়রানি কমবে তেমনই অনুপ্রবেশকারী ও পাচারকারীদের রোখাও সহজ হবে।
MAMATA ON BSF: মমতার বিতর্কিত কার্ড মন্তব্যে মুখ খুললেন বিএসএফ DIG
Arijit Singh: অরিজিৎ এর প্রশংসায় পঞ্চমুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কিন্তু কেন? জানুন
সোমবার কোচবিহারে সরকারি সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিএসএফের অত্যাচারে মানুষ তটস্থ। বিএসএফ সীমান্তে আলাদা আইডেনটিটি কার্ড দিতে চায়।আমি বলে দিচ্ছি, নেবেন না সেই কার্ড। বলবেন আমাদের আধার কার্ড রয়েছে, রেশন কার্ড রয়েছে। ওই কার্ড যদি নেন, তাহলে এনআরসি-তে পড়ে যাবেন। সব থেকে বাদ চলে যাবেন। কোনও সরকারি সুবিধা পাবেন না কিন্তু’। প্রশ্ন উঠছে, মুখ্য মন্ত্রী কি তথ্য জেনে এই মন্তব্য করেছেন? আর তা যদি করে থাকেন তাহলে কি পাচারকারী ও অনুপ্রবেশকারীদের পাশে রয়েছে তৃণমূল? সরকারি মঞ্চ থেকে দেশের আধাসেনা সম্পর্কে এরকম মন্তব্য করা যায় কি না তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।