দিনহাটা: দিল্লিতে জি ২০ সম্মেলনে দিল্লির পুষা কৃষি গবেষণাগার ক্যাম্পাসে দিনহাটার সীমান্ত গ্রামের দুই মহিলা কৃষক মিলেট থেকে মিলেটের চাল ও মিলেটজাত বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী বানানোর সকল পদ্ধতি তুলে ধরলেন। বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সামনে শনিবার তারা মিলেটজাত বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী বানানোর পদ্ধতি তুলে ধরেন। বিভিন্ন দেশের প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রীদের কেউ কেউ দিনহাটার দুই মহিলার নিয়ে যাওয়া উড়ুন গাইন তারা হাতিয়ে দেখেন। কথা বলেন মহিলাদের সাথে। দোভাষীর মাধ্যমে দিনহাটার দুই মহিলা তাদের কাছে সবকিছু তুলে ধরেন। সারা রাজ্যের মধ্যে দিনহাটার দুই মহিলা মিলেট চাষের বিভিন্ন দিক তুলে ধরলেন দিল্লির পুশা কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের ক্যাম্পাসে।

শনিবার জি-টোয়েন্টি সম্মেলনের প্রথম দিন দিনহাটা দুই নম্বর ব্লকের চৌধুরীহাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দুই মহিলা কৃষক রূপময়ী মোদক ও প্রমিলা মোদক বিভিন্ন দেশের প্রধানমন্ত্রীদের স্ত্রীদের সামনে মিলেট থেকে মিলেটের চাল ও মিলেটর বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী বানানোর পদ্ধতি তুলে ধরলেন। কেন্দ্রীয় কৃষি দফতরের অধীনস্থ সংস্থা স্মল ফার্মার্স এগ্রি বিজনেস কনসোল্টিয়ামের আমন্ত্রনে দুই মহিলা ও তাদের প্রশিক্ষক সৈকত সরকার বৃহস্পতিবার দিল্লিতে যায়।
জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালটিকে “আন্তর্জাতিক মিলেট বর্ষ ” হিসেবে ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। জি ২০ সামিটে মিলেটকেও সকলের সামনে তুলে ধরে বিশ্ব ব্যাপী এর প্রচার ও প্রসারের চেষ্টা চলছে। সমগ্র ভারতে মিলেট চাষের সফলতা গুলিকে তুলে ধরতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই কারণে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সফল মিলেট চাষীদেরকে কেন্দ্রীয় কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানান হয়েছে। বিশ্বের দরবারে ভারতের মিলেট ও মিলেট থেকে তৈরি বিভিন্ন জিনিস দেখে বিদেশী অতিথিগণ অভিভূত বলে জানালেন দিনহাটার দুই মহিলার প্রশিক্ষক সৈকত সরকার।


তিনি জানান,কোচবিহার জেলার দিনহাটা মহকুমার চৌধুরিহাট গ্রামের বাসিন্দা এই দুজন মহিলাকে কেন্দ্রীয় কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে দিল্লিতে আসার জন্য আমন্ত্রন জানানো হয়েছিল। সেই সাথে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল প্রশিক্ষক হিসেবে আমাকেও।
চাষ করার ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা ও উৎসাহ দিয়েছিল উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,কোচবিহার কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র এবং সাতমাইল সতীশ ক্লাব। পরবর্তীতে কয়েকজন কৃষককে আত্মা প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হয়েছিল। আগামীদিনে মিলেট চাষের প্রচার অত্যন্ত জরুরি। মিলেটের খাদ্যগুন সম্পর্কে আরও বেশি করে মানুষকে সচেতন করতে হবে।
এত বড়ো একটি অনুষ্ঠানে আসতে পেরে দিনহাটার দুই মহিলা কৃষক খুবই খুশী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *