নিউজ ডেস্কঃ
বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষকদের ‘BJP ক্যাডার’ বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বুধবার বাম আমলের তুলনা টেনে মন্ত্রী একটি দীর্ঘ ফেসবুক পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, ‘বাম সরকারের আমলে পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন বিভাগের অধীনে SSK এবং MSK-র সহায়ক, সম্প্রসারকরা নামমাত্র সাম্মানিকের বিনিময়ে কাজ করতেন। কাজের নিশ্চয়তা, আর্থিক নিরাপত্তা এবং অবসরকালীন সুযোগ-সুবিধা কিছুই ছিল না। কিন্তু ২০২০ সালের ২০ ডিসেম্বর থেকে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকার SSK এবং MSK-গুলিকে বিদ্যালয় শিক্ষা বিভাগের অধীনে এনে একটি সুসংবদ্ধ রূপ দিয়েছে। সহায়ক, সহায়িকাদের সাম্মানিক বাড়িয়ে মাসিক ১০ হাজার ৩৪০ টাকা এবং সম্প্রসারক, সম্প্রসারিকাদের সাম্মানিক বাড়িয়ে ১৩ হাজার ৩৯০ টাকা করা হয়েছিল। বছরে ৩ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রত্যেককে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের অধীনে আনা হয়েছে’। মন্ত্রীর সংযোজন, ‘যাঁরা ৬০ বছর বয়সে অবসর নিতে চান, তাঁদের প্রত্যেককে তিন লাখ টাকা করে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে’।
বাকিদেরও ওই পরিষেবা প্রদানের কথা চলছে বলেই জানিয়েছেন ব্রাত্য। ছাড়াও মাতৃত্বকালীন ছুটি, বছরে ১৮ দিন ক্যাজুয়াল লিভ, নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে প্রভিডেন্ট ফান্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেই দাবি করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘এত কিছুর পরেও যাঁরা আন্দোলন করছেন, তারা শিক্ষক শিক্ষিকা নন, BJP ক্যাডার’।
মন্ত্রীর ওই পোস্ট প্রসঙ্গে সরব হয়েছেন শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের জেনারেল সেক্রেটারি মইদুল ইসলাম বলেন, ‘ব্রাত্য বসু শিক্ষিত ব্যক্তি। তবু বলব, তিনি যা বলছেন ভুল বলছেন। অমিত শাহর সভায় আমরা কালো পতাকা দেখিয়েছি। ছবি চাকি ও অনিমা নাথ তৃণমূল করেন। বিধানসভা নির্বাচনে আমি ISF-র হয়ে লড়েছি। ৪০ হাজার ভোট পেয়েছি। ব্রাত্য বসু চার মাস মন্ত্রী হয়ে একদিনও আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। ব্রাত্য বসু সেটা করেননি’।